চিন্ময় ইস্যুতে যা বললেন মমতা ব্যানার্জী
বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সহিংসতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, কোনো ধর্মের ওপরেই আঘাত আসুক, আমি তা চাই না।
চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের নাম উল্লেখ না করলেও মমতা জানান, বাংলাদেশে ইসকন সম্পর্কিত ঘটনায় তিনি ইসকনের স্থানীয় নেতার সঙ্গে কথা বলেছেন। তবে এটি যেহেতু অন্য একটি দেশের বিষয়, তাই এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এর আগে মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ইস্যুতে ভারতের পররাষ্ট্র দফতর একটি বিবৃতি দেয়। তাতে বলা হয়, চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতার ও জামিন বাতিলের ঘটনায় ভারত সরকার গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। তাকে আটকের পর বাংলাদেশের চরমপন্থী গ্রুপগুলো হিন্দু সম্প্রদায় ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের ওপরও হামলা চালিয়েছে। এছাড়া হিন্দু এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, ভাঙচুর এবং মন্দিরে হামলার মতো ঘটনাও ঘটছে বাংলাদেশে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনায় অপরাধীরা যেখানে ধরা-ছোঁয়ার বাইরে, সেখানে অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলা একজন ধর্মীয় নেতাকে পাল্টা অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাছাড়া, বিবৃতিতে বাংলাদেশের হিন্দুসহ সকল সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিতের আহ্বানও জানানো হয়।
তার প্রতিবাদে একই দিনে বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারকে ভারতের পররাষ্ট্র দফতর ভুলভাবে উপস্থাপন করেছে উল্লেখ করে উদ্বেগ জানিয়ে বিবৃতি দেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চিন্ময় ইস্যুতে ভারতের ভিত্তিহীন বিবৃতি শুধু সত্যকে বিকৃত করে না বরং দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বন্ধুত্ব ও বোঝাপড়ার চেতনার পরিপন্থী। কোনো ধর্মীয় কারণে নয় নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতেই চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। কিছু মহল এই ইস্যুতে ভুল ধারণা দিয়েছে।