১৪ বন্ধুকে বিষ প্রয়োগে হত্যার দায়ে নারীর মৃত্যুদণ্ড
থাইল্যান্ডে ১৪ বন্ধুকে হত্যার অভিযোগে এক নারীকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ব্যাংককের আদালত এক ধনী বন্ধুর খাবার ও পানীয়তে বিষ মেশানোর অপরাধে ৩৬ বছর বয়সী সারারাত রাংসিউথাপর্নকে দোষী সাব্যস্ত করেছে। তাকে ২০ লাখ বাথা (৫৭ হাজার ৬৬৭ ডলার) ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছর অভিযুক্ত সারারাত তার বন্ধু সিরিপর্ন খানওংয়ের সঙ্গে ভ্রমণে যান। সেখানে সিরিপর্নের মৃত্যু হয়। তখন এই নারী প্রাকৃতিক কারণে মারা গেছেন, এমনটা মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানান তার আত্মীয়স্বজন। পরে ময়নাতদন্তে তার শরীরে সায়ানাইডের চিহ্ন পাওয়া পাওয়া যায়। একপর্যায়ে পুলিশ সারারাতকে গ্রেপ্তার করেন।
তদন্তে জানা যায়, ২০১৫ সাল থেকে এভাবে বিষ দিয়ে আরও বেশ কয়েকজনকে হত্যা করেছেন তিনি। তিনি টার্গেট করেছিলেন, এমন এক ব্যক্তি বেঁচে যান বলে অভিযোগ রয়েছে।
পুলিশ বলছে, স্থানীয় মিডিয়ায় সারারাত অ্যাম সায়ানাইড নামে পরিচিত। এই নারীর জুয়া খেলার আসক্তি ছিল। তিনি ধনী বন্ধুদের টার্গেট করে তাদের গয়না ও মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি করতেন। সারারাত তার বন্ধু সিরিপর্ন খানওংয়ের (৩২) সঙ্গে ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে ব্যাংককের পশ্চিমে রাচাবুরি প্রদেশে ভ্রমণে যান। যেখানে তারা একটি নদীতে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি
পুলিশ জানায়, সারারাতের সঙ্গে খাবার খাওয়ার পরে সিরিপর্ন মাটিতে লুটিয়ে পড়েন, পরে তার মৃত্যু হয়। এ সময় ওই সারারাত ওই নারীকে সাহায্য করার জন্য কোনো চেষ্টা করেননি। পরে সিরিপর্নের শরীরে সায়ানাইডের চিহ্ন পাওয়া গেছে। এ ছাড়া মরদেহ উদ্ধারের সময় তার ফোন, টাকা ও ব্যাগ পাওয়া যায়নি।
রায় ঘোষণার পর সিরিপর্নের মা থংপিন কিয়াচানাসিরি তার মেয়ের ছবি হাতে নিয়ে আদালতের সামনে বলেন, তুমি ‘ন্যায়বিচার পেয়েছ, ‘আমার সন্তান। আজ এই পৃথিবীতে ন্যায়বিচার আছে।’
থংপিন জানান, রায় ঘোষণার সময় রাগে তিনি সারারাতের দিকে তাকাতে পারেননি। কারণ রায় পড়ার সময় সারারাত হাসছিলেন। তবে নিজের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সারারাত।