তৃতীয়বার মার্কিন প্রেসিডেন্ট হতে চান ট্রাম্প!

ডোনাল্ড ট্রাম্প
ডোনাল্ড ট্রাম্প  © সংগৃহীত

দ্বিতীয়বার নির্বাচিত হয়েই তৃতীয়বার মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন রিপাবলিকান পার্টির নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে এর জন্য তাকে বদলাতে হবে সংবিধান। কিন্তু তা কি আদৌ সম্ভব? প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যেই বোমা ফাটিয়েছেন তিনি। ‘নিয়ম ভেঙে’ তৃতীয়বারের জন্যও ভোটে লড়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। 

সদ্য শেষ হওয়া যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বড় ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আগামী বছরের জানুয়ারিতে ৪৭তম মার্কিন 
প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়ে রাজধানী ওয়াশিংটনের হোয়াইট হাউস পা রাখবেন তিনি। কিন্তু এর আগেই রিপাবলিকান নেতার একটি মন্তব্য ঘিরে তোলপাড় শুরু হয়ে গেছে।

চলতি বছরের ১৩ নভেম্বর ওয়াশিংটনের একটি হোটেলে যুক্তরাষ্ট্রের আইনসভার (যাকে কংগ্রেস বলা হয়) নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন ট্রাম্প। তাদের সামনে দাঁড়িয়েই তিনি জানান, সমর্থকেরা চাইলে তৃতীয়বার প্রেসিডেন্ট হতেও কোনো আপত্তি নেই তার। এরপরই যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান বদল নিয়ে জল্পনা শুরু হয়ে গেছে।

আরও পড়ুন: ট্রাম্পের প্রশাসনে গুরুত্বপূর্ণ পদ পাচ্ছেন ইলন মাস্ক

এ প্রসঙ্গে ঠিক কী বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট? ট্রাম্পের কথায়, ‘আমার ধারণা, আমি আর প্রেসিডেন্ট ভোটে লড়ব না। তবে যদি আপনারা বলেন যে, ‘তিনি ভালো ছিলেন’, কিংবা ‘বিশেষ একজনকে আমরা পেয়েছি’, তা হলে আলাদা কথা।’ তার এ মন্তব্যের পর রিপাবলিকান দলের অন্দরেও জলঘোলা শুরু হয়ে গিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের  সংবিধান অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি দুবারের বেশি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে পারেন না, অর্থাৎ রাষ্ট্রপ্রধান হিসাবে সর্বোচ্চ আট বছর ক্ষমতায় থাকতে পারবেন তিনি। ২০১৬ এবং ২০২৪ সালে প্রেসিডেন্ট ভোটে জিতেছেন ট্রাম্প। ফলে ২০২৮ সালের নির্বাচনে লড়তে হলে সংবিধান সংশোধন করতে হবে তাকে।

এখন থেকে প্রায় ২৩৫ বছর আগে, ১৭৮৯ সালের ৪ মার্চ কার্যকর হয় যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান, যা বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন সংবিধান হিসেবে পরিচিত। পরবর্তী সময়ে একাধিকবার তাতে সংশোধনী আনা হয়েছে। যার মধ্যে ২২তম সংশোধনী খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যুক্তরাষ্ট্রে সংবিধান গৃহীত হওয়ার সময়ে কোনও ব্যক্তির প্রেসিডেন্ট হিসাবে কার্যকালের মেয়াদ কত বছর হবে, তা স্পষ্ট ছিল না। ফলে দুবার নির্বাচিত হওয়ার পরও ভোটে লড়ার অধিকার ছিল রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীদের। ১৯৫১ সালে অনুমোদিত ২২তম সংশোধনীতে এই নিয়মের বদল করা হয়।

আরও পড়ুন: নবীরা বলে গেছেন, কেয়ামত শুরু হবে মধ্যপ্রাচ্যে: ট্রাম্প

ওই সংশোধনীতেই কোনো ব্যক্তি তৃতীয়বার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে পারবেন না বলে উল্লেখ রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট কেন্দ্রীয় আইনসভা বা কংগ্রেসের অবিচ্ছেদ্য অংশ নন। ফলে বেশ কিছু ক্ষেত্রে ‘একক সিদ্ধান্ত’ গ্রহণের ক্ষমতা রয়েছে তার। যার অপব্যবহার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর তাই ওই সংশোধনী আনা হয় বলে মনে করেন রাষ্ট্রবিজ্ঞানের গবেষকেরা।


সর্বশেষ সংবাদ