মার্কো রুবিওকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে মনোনয়ন দিলেন ট্রাম্প
মার্কিন সিনেটর মার্কো রুবিওকে পরবর্তী পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে মনোনীত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আগামী জানুয়ারিতে ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্বগ্রহণের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হবেন তিনি।
ট্রাম্পের পররাষ্ট্রনীতির কট্টর সমর্থক হিসেবে পরিচিত মার্কো রুবিও। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলো যেমন চীন, রাশিয়া, ইরান, কিউবা ইত্যাদির ব্যাপারে ট্রাম্প যে আক্রমণাত্মক পররাষ্ট্রনীতির কথা বলেন, সেই নীতির পক্ষে মার্ক রুবিওকে সব সময় অবস্থান নিতে দেখা গেছে।
আরও পড়ুন: গাজায় ‘গণহত্যা’ চালাচ্ছে ইসরায়েল: সৌদি যুবরাজ
ট্রাম্প সব সময় যুক্তরাষ্ট্রের আগের প্রেসিডেন্টদের ব্যয়বহুল ও অকার্যকর যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার সমালোচনা করেন। ট্রাম্পের এই দৃষ্টিভঙ্গির পক্ষে নিজের অবস্থান সুস্পষ্ট করেছেন মার্কো রুবিও।
তবে প্রথম মেয়াদে প্রেসিডেন্ট থাকার সময় ট্রাম্প বিশ্বে যেমন পেয়েছিলেন, বর্তমান সময়ের বিশ্ব তেমন নেই। এ পরিবর্তিত বিশ্ব আগের চেয়ে অনেক বেশি অস্থির ও বিপজ্জনক। ইউক্রেন-রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ চলছে। যুদ্ধ চলছে মধ্যপ্রাচ্যেও। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিপক্ষ রাশিয়া, চীন ও ইরান পরস্পরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলেছে।
আরও পড়ুন: এখনো যেভাবে প্রেসিডেন্ট হওয়ার সুযোগ রয়েছে কমলার
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর মার্কো রুবিওর প্রথম কাজ হবে ইউক্রেন যুদ্ধের সমাধান করা। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ৫৩ বছর বয়সী মার্কো বলেছেন, রাশিয়া এক দশকে ইউক্রেনের যত ভূমি দখল করেছে, সেগুলো পুনরুদ্ধারের চেয়ে এ মুহূর্তে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, আলোচনার মাধ্যমে যুদ্ধের স্থায়ী সমাধানের দিকে যাওয়া।
গত এপ্রিল মাসে ইউক্রেনের জন্য ৯৫ বিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা প্যাকেজের বিরুদ্ধে ভোট দেয়া ১৫ জন রিপাবলিকান সিনেটরের একজন ছিলেন তিনি।