০৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৭:৩৯

যুক্তরাষ্ট্র ছাড়ার ঘোষণা দিলেন ইলন মাস্কের রূপান্তরকামী মেয়ে

ভিভিয়ান জেনা উইলসন এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প  © সংগৃহীত

সদ্য নির্বাচনে জিতে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থনে ময়দানে নেমেছিলেন বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান, টেসলার প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইলন মাস্ক। সম্প্রতি তার সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ করা তার ট্রান্সজেন্ডার মেয়ে যুক্তরাষ্ট্র ছেড়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। 

গত মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়ের পর এমন সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি। ২০২২ সালে বাবা ইলন মাস্কের সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ করেন ভিভান জেনা উইলসন। ওই সময় তিনি জেন্ডার রূপান্তর (ছেলে থেকে মেয়ে হওয়া) ও নিজের নাম পরিবর্তনের অনুমতি চেয়ে আদালতে আবেদন করেছিলেন। তার পরে নামও বদলে নিয়েছেন। সর্বোপরি, বাবা ইলন মাস্কের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন। 

এবার ট্রাম্পের জয়ের পরে ভিভিয়ান মন্তব্য করলেন, আমেরিকায় আর কোনও ভবিষ্যৎ দেখতে পাচ্ছেন না তিনি। এই কথা বলে দেশ ছাড়তে চাইলেন ভিভিয়ান। এর আগে জেনা তাঁর বাবার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন, তিনি থেকেও না থাকার মতো। তাঁর রূপান্তরিত (ট্রান্সজেন্ডার) হওয়ার বিষয়টি তিনি মেনে নিচ্ছেন না।

গত বুধবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থ্রেডসে একটি পোস্ট দেন জেনা উইলসন। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘আমি কিছু সময়ের জন্য ভাবনাচিন্তার মধ্যে ছিলাম, কিন্তু গতকাল আমি মনস্থির করে ফেলেছি। যুক্তরাষ্ট্রে থাকার মধ্যে আমি ভবিষ্যৎ দেখতে পাচ্ছি না।’

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে ইলন মাস্ক রূপান্তরকামীদের নিয়ে একটি বিতর্কিত টুইট করেছিলেন। তিনি লিখেছিলেন, 'আমি ট্রান্সদের সমর্থন করি, কিন্তু এই সমস্ত জিনিসগুলি একটি দুঃস্বপ্নের মতো।' এর পরে, বছর দুয়েক আগে রিপাবলিকান পার্টির প্রতি নিজের সমর্থন ঘোষণা করেছিলেন স্পেস এক্স সিইও মাস্ক। এই রিপাবলিকানরাই গোটা দেশজুড়ে রূপান্তরকামীদের ক্ষমতা সীমিত করার আইন প্রস্তাব করেছিল। সেই থেকেই আরও খেপে ওঠেন ভিভিয়ান।

মাস্কের দাবি, প্রথম সন্তান নেভাডার মৃত্যুতে যতটা না কষ্ট পেয়েছিলেন, তার চেয়ে বেশি কষ্ট পেয়েছেন মেয়ে জেনা উইলসনের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ার কারণে। তিনি বলেন, ‘আমি কথা বলার জন্য অনেক চেষ্টা করেছি, কিন্তু ও আমার সঙ্গে থাকতে চায় না।’

এদিকে এনবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জেনা বলেন, প্রায় চার বছর তিনি বাবার সঙ্গে কথা বলেননি।