নির্বাচনে বাকি একদিন, শেষ মুহূর্তে ট্রাম্প-হ্যারিসের জরিপ কী বলছে?
বৈশ্বিক মোড়ল হিসেবে পরিচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদ, তাই এটি অনেক বেশি ক্ষমতার কেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত। এবারের নির্বাচনে নির্বাচনের আগে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিস প্রতিদ্বন্দ্বী রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের চেয়ে কয়েকটি সমীকরণে এগিয়ে থাকার কথা জানা গেছে।
নির্বাচনের আর মাত্র একদিন বাকি। কে বসছেন যুক্তরাষ্ট্রের মসনদে, তা জানার জন্য মুখিয়ে আছে সারাবিশ্ব। রিপাবলিকান ডোনাল্ড ট্রাম্প নাকি ডেমোক্র্যাট কমলা হ্যারিস। কী বলছে জরিপ?
ভোটারদের নিয়ে জাতীয়ভাবে যেসব জরিপ হয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, গড়ে ট্রাম্পের চেয়ে অল্প ব্যবধানে এগিয়ে আছেন কমলা। জুলাইয়ে কমলা হ্যারিস ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হওয়ার পর এই প্রথম ট্রাম্পের চেয়ে এগিয়ে আছেন তিনি। জাতীয়ভাবে যেসব জনমত জরিপ হয়েছে, তার গড় করে দেখা যাচ্ছে, রোববার (৩ নভেম্বর) পর্যন্ত কমলা হ্যারিসের পক্ষে সমর্থন ৪৮ শতাংশ। আর ট্রাম্পের ৪৭ শতাংশ।
ডেমোক্রেটিক দলীয় প্রার্থী হওয়ার পর নির্বাচনী প্রচার শুরুর প্রথম সপ্তাহগুলোয় কমলা হ্যারিসের দিকে সমর্থন বেশি ছিল। আগস্টের শেষে দেখা গিয়েছিল, ট্রাম্পের চেয়ে প্রায় ৪ পয়েন্টে এগিয়ে কমলা।
এরপর সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরের শুরুর দিকেও আগের অবস্থান ধরে রেখেছিলেন কমলা হ্যারিস। তবে শেষ কয়েক সপ্তাহে দেখা গেছে, জরিপে কমলার সঙ্গে ট্রাম্পের ব্যবধান কমে আসছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের ফলাফল অনুমানের জন্য জাতীয় জরিপের ওপর পুরোপুরি নির্ভর করা যায় না। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয় ইলেকটোরাল কলেজ ভোটের মাধ্যমে।
এ পদ্ধতিতে জনসংখ্যার ওপর ভিত্তি করে প্রতিটি অঙ্গরাজ্যের জন্য আলাদা ইলেকটোরাল কলেজ ভোট বরাদ্দ থাকে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ইলেক্টোরাল কলেজের ভোট আছে ৫৩৮টি। এর মধ্যে জয়ের জন্য প্রয়োজন ২৭০টি।
এ পদ্ধতিতে কোনো রাজ্যে যে প্রার্থী বেশি ভোট পাবেন, সব ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট তিনিই পাবেন। আর তিনিই বসবেন অর্থনৈতিক ও সামরিক দিক দিয়ে পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী দেশটির মসনদে।
এর আগে ২০২০ সালে ট্রাম্পের সঙ্গে কাজ করা রিপাবলিকান প্রচারশিবিরের কৌশলবিদ ম্যাট ওকিং বলেছিলেন, ‘জরিপে ফলাফল পরিবর্তনের বিষয়টি দেখলে এটা স্পষ্ট যে, কমলা হ্যারিসের বিরুদ্ধে লড়াই করা ট্রাম্পের জন্য আরও চ্যালেঞ্জিং, তবে তা অপ্রতিরোধ্য নয়।’