ইউক্রেনে রাশিয়ার পক্ষে যুদ্ধ করতে ১০ হাজার সেনা পাঠাচ্ছে উত্তর কোরিয়া
প্রায় ১০ হাজার সৈন্যকে রাশিয়ায় পক্ষ হয়ে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে প্রশিক্ষণ ও যুদ্ধের জন্য পাঠিয়েছে উত্তর কোরিয়া—এমন দাবি করেছে পেন্টাগন। উত্তর কোরিয়ার সৈন্যের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে ইউক্রেনে যুদ্ধ আরও প্রসারিত হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে পেন্টাগন।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) পেন্টাগনের মুখপাত্র সাবরিনা সিং বলেছেন, পূর্ব রাশিয়ায় প্রশিক্ষণের জন্য ১০ হাজার উত্তর কোরিও সেনার মধ্যে ৩ হাজার গত সপ্তাহে ইউক্রেন সীমান্তের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে।
তিনি আরও বলেন, এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন কারণ তারা রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে যুদ্ধ বা যুদ্ধ সহায়তায় অংশ নিতে পারে।
দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রপতি ইউন সুক-ইওল বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার সেনা মোতায়েন তার দেশের জাতীয় নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় উভয়কেই হুমকির মুখে ফেলেছে। তিনি রাশিয়া এবং উত্তর কোরিয়ার মধ্যে সামরিক সহযোগিতাকে ‘অবৈধ’ উল্লেখ করে এর নিন্দা জানিয়েছেন।
ন্যাটো মহাসচিব মার্ক রুটে বলেন, এর বিনিময়ে প্রেসিডেন্ট পুতিন উত্তর কোরিয়াকে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা এড়াতে সহায়তা করার জন্য সামরিক প্রযুক্তি ও অন্যান্য সহায়তা পাঠাতে সম্মত হয়েছেন। তিনি আরও বলেন, এই অংশীদারিত্ব ‘বৈশ্বিক শান্তি ও নিরাপত্তাকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।’
প্রাথমিকভাবে মস্কো ইউক্রেনের বিরুদ্ধে উত্তর কোরিয়ার সম্পৃক্ততার খবরকে ‘ভুয়া খবর’ বলে উড়িয়ে দিয়েছিলো। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন উত্তর কোরিয়ার সৈন্যরা রাশিয়ায় থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেননি। তিনি বলেছেন, পিয়ংইয়ংয়ের সাথে কোন চুক্তি বাস্তবায়ন হলে তা একটি অভ্যন্তরীণ বিষয়।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এটি ব্যবহার করব কি না; কোথায়, কীভাবে অথবা আমরা কোনো মহড়া, প্রশিক্ষণ বা অভিজ্ঞতা বিনিময় করব কি না, তা আমাদের বিষয়।’
রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ সোমবার রুটের মন্তব্য প্রত্যাখ্যান করেছেন এবং উল্লেখ করেছেন যে পিয়ংইয়ং এবং মস্কো গত জুনে একটি যৌথ নিরাপত্তা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
ল্যাভরভ আরও দাবি করেছেন যে পশ্চিমা অংশীদারদের দেওয়া দূরপাল্লার অস্ত্র ব্যবহারে তার সামরিক বাহিনীকে সাহায্য করার জন্য পশ্চিমা সামরিক প্রশিক্ষকদের দীর্ঘদিন ধরে গোপনে মোতায়েন করা হয়েছে। [আল-জাজিরা]