২৮ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৪০

কমলার আইকিউ কম : ট্রাম্প

ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কমলা হ্যারিস   © সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও  রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প তার প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী ও বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের আইকিউ (বুদ্ধির সূচক) কম বলে অভিযোগ তুলেছেন। তিনি বলেছেন, কমলা হ্যারিস খুবই কম আইকিউসম্পন্ন।     

গতকাল রবিবার (২৭ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেনে  নির্বাচনী সমাবেশে এ মন্তব্য করেন ট্রাম্প। এই সমাবেশের শুরুতে  ট্রাম্পের মিত্ররা বেশ কিছু অশ্লীল ও বর্ণবাদী মন্তব্য করেন। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।  

বক্তব্যের শুরুতে ট্রাম্প সমবেত জনতার উদ্দেশে প্রশ্ন করেন, ‘চার বছর আগের চেয়ে কি এখন আপনারা ভালো আছেন?’ এ সময় জনতা সমস্বরে বলে ওঠে, ‘না।’  

৫ নভেম্বরের ভোটে জয়ী হলে অপরাধীদের হামলা থেমে যাবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন ট্রাম্প। 

বাইডেন প্রশাসনের অভিবাসীদের সামলানো ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে হ্যারিসের উদ্দেশে তীর্যক মন্তব্য ছুড়েছেন ট্রাম্প। মার্কিন এই সাবেক প্রেসিডেন্ট বলেছেন, তিনি (হ্যারিস) এটা নড়বড়ে করে ফেলেছেন। আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, সব ঠিক করে দেব।

সমাবেশে নিউইয়র্কের একসময়ের মেয়র ও ট্রাম্পের সাবেক ব্যক্তিগত আইনজীবী রুডি জিলিয়ানি বলেন, ইসরায়েল–ফিলিস্তিন যুদ্ধের সময় কমলা হ্যারিস সন্ত্রাসীদের পক্ষ নিয়েছেন। কমলা হ্যারিস ফিলিস্তিনিদের যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে আসতে চেয়েছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।

ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারের পর ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস ই–মেইলে জানান, বিপজ্জনক বিভাজন ও অবমাননাকর বার্তার প্রতিফলন ঘটেছে এই নির্বাচনী সমাবেশে।

ওই সমাবেশে কৌতুক অভিনেতা টনি হিঞ্চক্লিফ বক্তব্যে স্থূল ভাষা ব্যবহার করেন। তিনি বলেন, লাতিনোরা সন্তানের জন্ম দিতে ভালোবাসে। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যারিবীয় অঞ্চলের পুয়ের্তো রিকোকে ‘আবর্জনার ভাসমান দ্বীপ’ বলে আখ্যায়িত করেন।

হিঞ্চক্লিফের এই বক্তব্যের পর পুয়ের্তো রিকোর সংগীতশিল্পী রিকি মার্টিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে স্প্যানিশ ভাষায় দেওয়া এক পোস্টে লিখেছেন, তাঁরা আমাদের নিয়ে এমনটাই ভাবে। 

যদিও পুয়ের্তো রিকোর বাসিন্দারা যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে ভোট দিতে পারেন না। তবে পুয়ের্তো রিকো থেকে যারা যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডে চলে গেছেন, তারা নির্বাচনে পুরোপুরি অংশ নিতে পারেন। তাদের মধ্যে অনেকেই পেনসিলভানিয়ার বাসিন্দা।

জরিপে দেখা গেছে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ অঙ্গরাজ্যগুলোতে প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্রার্থীর প্রায় সমানে সমান অবস্থানে রয়েছেন।