হাসেম সাফিউদ্দীনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করল হিজবুল্লাহ
হিজবুল্লাহর সাবেক প্রধান হাসান নাসরাল্লাহর সম্ভাব্য উত্তরসূরি হাসেম সাফিউদ্দীনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছে দলটি। চলতি মাসের শুরুতে বৈরুতে সাফিউদ্দীনকে হত্যার দাবি করে ইসরাইল। মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এ দাবি করার পর বুধবার (২৩ অক্টোবর) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে হিজবুল্লাহ।
ইসরাইলের সামরিক বাহিনীর তথ্য অনুযায়ী, ৪ অক্টোবর হামলার সময় হিজবুল্লাহর গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান হুসেইন আলি হামজার সাথেই নিহত হন সাফিউদ্দীন। বৈরুতে হিজবুল্লাহর
ভূগর্ভস্থ গোয়েন্দা ঘাঁটিতে হামলা চালায় ইসরাইল। ঘাঁটিটি বৈরুতে বেসামরিক জনবহুল দাহিয়ে নামক এলাকায় অবস্থিত ছিল। এলাকাটি রাজধানীর দক্ষিণ পাশে অবস্থিত।
বিমান হামলা পরিচালনার সময় ওই গোয়েন্দা ঘাঁটিতে হিজবুল্লাহর ২৫ জনের বেশি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ওই গোয়েন্দা ঘাঁটিতে অবস্থান করছিলেন বলে দাবি করেছে তেল আবিব। ধারণা করা হচ্ছে সেখানে থাকা সকলেই ওই হামলায় নিহত হয়েছেন।
গত ৪ অক্টোবর বৈরুতের বিমানবন্দরের পাশে বিমান হামলা চালিয়েছিল ইসরাইলের সেনারা। তখন হিজবুল্লাহ জানিয়েছিল তারা সাফিউদ্দীনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছে না। সেসময় মার্কিন সংবাদমাধ্যম জানিয়েছিল ইসরাইল ওই দিন সাফিউদ্দীনকে লক্ষ্য করে বোমা হামলা চালিয়েছে।
সাফিউদ্দীনকে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট ২০১৭ সালে ‘সন্ত্রাসী’ হিসাবে চিহ্নিত করেছে। তিনি ছিলেন নাসরাল্লাহর চাচাতো ভাই এবং তার মতো একজন ধর্মগুরু। শিয়া রিতী অনুযায়ী কালো পাগড়ী পরিধান করতেন সাফিউদ্দীন। ধূসর দাড়ি এবং চশমা পড়ার কারণে সাফিউদ্দীন অনেকটাই নাসরাল্লাহর সাদৃশ্য বহন করতেন। তবে তাদের বয়সের ব্যবধান ছিল। [সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান]