২৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:১২

বিশ্ব মোল দিবস আজ, সকাল ৬.০২ থেকে সন্ধ্যা ৬.০২ পর্যন্ত

  © টিডিসি সম্পাদিত

আজ বিশ্ব মোল দিবস। প্রতি বছর ২৩ অক্টোবর সারাবিশ্বে দিবসটি পালন করা হয়। মোল দিবসের ‘তারিখ’টি নির্ধারণে একটি বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। দিনটি  অ্যাভোগাড্রো সংখ্যা মানের উপর ভিত্তি করে নির্ধারণ করা হয়। অ্যাভোগাড্রো সংখ্যার মান ৬.০২×১০^২৩। এ কারণে আমেরিকায় অক্টোবর মাসের ২৩ তারিখে সকাল ৬.০২ থেকে সন্ধ্যা ৬.০২ পর্যন্ত পালিত হয়ে থাকে। সময়টি এসেছে ৬.০২ থেকে আর দিন, মাস ও দিন নির্ধারণ করা হয়েছে ১০^২৩ থেকে অর্থাৎ ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ইংরেজি  ১০ম মাসের ২৩ তারিখ।

অক্টোবর মাসের ২৩ তারিখে সকাল ৬.০২ থেকে সন্ধ্যা ৬.০২ পর্যন্ত পালিত হয়ে থাকে। সময়টি এসেছে ৬.০২ থেকে আর দিন, মাস ও দিন নির্ধারণ করা হয়েছে ১০^২৩ থেকে অর্থাৎ ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ইংরেজি  ১০ম মাসের ২৩ তারিখ।

দ্য সায়েন্স টিচার নামক প্রবন্ধ থেকে ৮ ০’র দশকের প্রথমার্ধে মোল দিবস কথাটি আসে। এই নিবন্ধটি থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে, মরিস ওলার ১৯৯১ সালের ১৫ মে ‘জাতীয় মোল দিবস সংস্থা’ প্রতিষ্ঠা করেন। যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া এবং কানাডাসহ বিভিন্ন দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের রসায়নের প্রতি আগ্রহী করতে মোল দিবস পালন করা হয়। এদিনে বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে রসায়ন বিষয়ক সেমিনার আয়োজন করা হয়। আমাদের দেশেও বর্তমানে কিছু কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে দিনটি পালিত হয়ে আসছে। অ্যাভোগাড্রো সংখ্যা বলতে বোঝায়  এক মোল পদার্থের কণার মধ্যে কতটি পরমাণু বা অণু রয়েছে।

আরও পড়ুন: রসায়নে পড়ব কেন?

১৯ শতকের ইতালীয় রসায়নবিদ আমাদিও অ্যাভোগাড্রোর নামানুসারে সংখ্যাটির নামকরণ হয়। ১৮১১ সালে তিনি সর্ব প্রথম প্রস্তাব করেন যে ‘কোন গ্যাসের আয়তন স্থির তাপমাত্রা ও চাপে তাতে বিদ্যমান অণু বা পরমাণু সংখ্যার সমান’। এজন্য পরবর্তীতে তাঁর সম্মানার্থে অ্যাভোগাড্রো সংখ্যাকে N দ্বারা প্রকাশ করা হয়। ফরাসি বিজ্ঞানী জিন বাপটিস্ট পেরিন ধ্রুব সংখ্যাটিকে অ্যাভোগাড্রোর সম্মানে নামকরণের প্রস্তাব করেন। পেরিন বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় অ্যাভোগাড্রো সংখ্যার মান নির্ণয়ের চেষ্টা করেন এবং এ কারণে ১৯২৬ সালে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।

পেরিন মূলত অক্সিজেনের এক গ্রাম অণুতে বিদ্যমান অণুর সংখ্যাকেই অ্যাভোগাড্রো সংখ্যা N নামকরণের প্রস্তাব করেছিলেন, যেটা এখনো ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়, বিশেষত প্রাথমিক গবেষণা কাজগুলোতে। পরবর্তীতে ১৯৭১ সালে যখন পরিমাপের আন্তর্জাতিক একক (SI) এ মোল কে একটি মৌলিক এককে রূপান্তর করা হলো তখন এর নাম পরিবর্তন করে অ্যাভোগাড্রো ধ্রুবক N রাখা হয়, যা কোন বস্তুতে উপস্থিত পদার্থের পরিমাণ প্রকাশ করে এবং পরিমাপের মাত্রার উপর নির্ভর করে না। 

আরও পড়ুন: রসায়নে নোবেল পেলেন তিন বিজ্ঞানী

এই স্বীকৃতির ফলে অ্যাভোগাড্রো সংখ্যা N আর একটি বিশুদ্ধ সংখ্যা নয়, এর একক রয়েছে যা হচ্ছে মোলের বিপরীত রাশি (মোল−1)। যদিও পদার্থের পরিমাণ প্রকাশে সাধারণত মোল-ই ব্যবহৃত হয়, অ্যাভোগাড্রো সংখ্যাকে আরো কিছু এককের মাধ্যমেও প্রকাশ করা হয়, যেমন পাউন্ড মোল (lb-mol) কিংবা আউন্স মোল (oz-mol)।