সিনওয়ারের মরদেহ নিয়ে ‘দর কষাকষির’ কৌশল করবে ইসরায়েল?
গাজার রাফার তেল সুলতান এলাকায় বুধবার (১৬ অক্টোবর) ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে নিহত হন হামাসের প্রধান নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ার। পরিচয় শনাক্তের জন্য পরদিন বৃহস্পতিবার তাঁর মরদেহ ইসরায়েলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরীক্ষা শেষে জানা যায় এটি হামাস প্রধানের মরদেহ। ধারণা করা হচ্ছে, তাঁর মরদেহটি জিম্মিদের মুক্তির কৌশল হিসেবে ‘দর কষাকষি’তে ব্যবহার করা হবে।
ইসরায়েলি দুটি সূত্র মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে জানিয়েছে, সিনওয়ারের মরদেহকে কাজে লাগিয়ে কীভাবে জিম্মিদের ফিরিয়ে আনা যায় সেটিকে প্রাধান্য দেওয়া হবে। যার অর্থ এখনই সিনওয়ারের মরদেহটি কবর দেওয়া হবে না।
গত বছরের ৭ অক্টোবর প্রায় ২৫০ জনকে ইসরায়েল থেকে ধরে গাজায় নিয়ে যায় হামাস। তাদের মধ্যে ১০০ জনেরও বেশি জিম্মি এখনো সেখানে রয়ে গেছেন।
একটি সূত্র সিএনএনকে বলেছেন, “যদি হামাস সিনওয়ারের মরদেহের বিনিময়ে জীবিত এবং মৃত ইসরায়েলিদের ফেরত দিতে রাজি থাকে, তাহলে এটি ভালো।”
এর আগে আবু কবির ফরেনসিক ইনস্টিটিউটে সিনওয়ারের মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়। এতে নিশ্চিত হওয়া গেছে, মাথায় গুলি লেগে এবং গোলার আঘাতে সিনওয়ার নিহত হয়েছেন।
সংবাদমাধ্যমটি আরও জানিয়েছে, সিনওয়ারের মরদেহের ওপর আরও অন্যান্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে মৃত্যুর সময় তার রক্তে কোনো ধরনের অস্বাভাবিক উপাদান বা মাদক ছিল কিনা। এসব পরীক্ষার ফলাফলের জন্য এখন তারা অপেক্ষা করছেন ইসরাইলি কর্মকর্তারা।