ইলন মাস্কের স্পেসএক্সের ইতিহাস, উৎক্ষেপণ প্যাডে প্রথম নিরাপদ অবতরণ বুস্টারের
এই প্রথমবার উৎক্ষেপণ প্যাডে নিরাপদ অবতরণ করেছে ইলন মাস্কের স্পেসএক্সের স্টারশিপ রকেটের একটি অংশ। পৃথিবীতে এটিই প্রথম যার মধ্য দিয়ে ইতিহাস গড়লো স্পেসএক্স।
রবিবার (১৩ অক্টোবর) টেক্সাসের বোকা চিকা মহাকাশ কেন্দ্র থেকে রকেটটির প্রথম-ধাপের সুপার হেভি বুস্টারটি উৎক্ষেপণ করা হয়। উড্ডয়নের পর এক পর্যায়ে এর দ্বিতীয়-ধাপের স্টারশিপ রকেটটি আলাদা হয়ে অস্ট্রেলিয়ার পশ্চিমে ভারত মহাসাগরে গিয়ে পড়ে। আর সুপার হেভি বুস্টারটি ফিরে আসে স্পেস এক্সের উৎক্ষেপণ টাওয়ারে। উৎক্ষেপণ টাওয়ারের রোবোটিক শাখা ‘চপস্টিক’ তখন বুস্টারটিকে সয়ংক্রিয়ভাবে ধরে নেয়।
পাঁচবারের প্রচেষ্ঠায় উৎক্ষেপণ প্যাডে প্রথমবারের মতো অবতরণ করেছে স্টারশিপ রকেটের সুপার হেভি বুস্টার। এ যাবৎকালের বিশ্বে তৈরি হওয়া সবচেয়ে শক্তিশালী রকেট স্টারশিপের দুটি অংশের একটি হচ্ছে ‘সুপার হেভি বুস্টার’ নামের তরল গ্যাসের জ্বালানিচালিত রকেট। আর অপর অংশটি হল ‘স্টারশিপ’ নামের মহাকাশযান যা এই সুপার হেভি বুস্টারের ওপর বসানো থাকে।
আরও পড়ুন: মুঠোফোন ব্যবহারের দিন শেষ হচ্ছে! কেন বললেন ইলন মাস্ক
স্টারশিপ রকেটি একসাথে ১০০ জন আরোহী বহন করতে পারে। ১০০ টনের বেশি যন্ত্রপাতি এই রকেটে সুপার হেভি বুস্টারে আছে ৩৩টি ইঞ্জিন, যা মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার আর্টিমেস রকেটের চেয়ে দ্বিগুণ শক্তিশালী।
ইতিহাসের সাক্ষী হওয়ার সে মুহূর্তেই আনন্দ প্রকাশ করে এক্সে স্পেস এক্সের প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্ক লেখেন “টাওয়ার রকেটটিকে ধরে ফেলেছে!”
ইলন মাস্ক চান অন্যগ্রহে মানুষের বসতি স্থাপন করতে। তারই উপযোগী করে তিনি প্রস্তত করছেন এই রকেটটি। যা একাধিকবার ব্যবহার করা সম্ভব হবে।