১১ অক্টোবর ২০২৪, ১৬:৩৮

লেবাননে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনের স্থাপনায় হামলা ইসরায়েলের, আহত ২

জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনের স্থাপনায় হামলা ইসরায়েলের

লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনের একটি ওয়াচ-টাওয়ারে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। হামলায় টাওয়ারটি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। এছাড়া দু’জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) রাতের হামলায় ধ্বংস হয়েছে টাওয়ারটি।

স্থানীয়ভাবে ইউনিফিল টাওয়ার নামে পরিচিত জাতিসংঘের এই ওয়াচ-টাওয়ারটির অবস্থান ছিল দক্ষিণ ইসরায়েলের নাকৌরা শহরে।

এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) বলেছে, ‘গোয়েন্দাসূত্রে আমাদের কাছে খবর এসেছিল যে ইউনিফিল টাওয়ার এবং তার আশপাশের এলাকায় গোপন ঘাঁটি রয়েছে হিজবুল্লাহর। সেই ঘাঁটি ধ্বংসের উদ্দেশে এই হামলা পরিচালিত হয়েছে। হামলার বেশ কয়েক ঘণ্টা আগে জাতিসংঘেল কর্মী এবং ওই টাওয়ার ও তার আশে-পাশে থাকা লোকজনকে নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছিল।’

ইউনিফিল টাওয়ারে হামলার পর নিউইয়র্ক থেকে জাতিসংঘের ইসরায়েলি প্রতিনিধিদলের সদস্য ড্যানি ড্যানন এক তাৎক্ষণিক এক বার্তায় জানিয়েছেন, নাকৌরার যে এলাকায় সেই ইউনিফিল ছিল, সেখান থেকে অন্তত ৫ কিলোমিটার দূরে টাওয়ারটি পুনরায় স্থাপন করতে জাতিসংঘকে সুপারিশ করবে ইসরায়েল। তিনি আরও বলেছেন, এক্ষেত্রে জাতিসংঘকে সহায়তা করতে ইসরায়েল প্রস্তুত।

জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনের শীর্ষ নির্বাহী কর্মকর্তা জ্যঁ-পিয়েরে ল্যাক্রোইক্স ইউনিফিল টাওয়ারে হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। বৃহস্পতিবার হামলার কিছুক্ষণ পর এক বার্তায় ল্যাক্রোইক্স বলেন, লেবাননে এই মুহূর্তে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনের ১০ হাজার ৪০০ জনেরও বেশি সেনাসদস্য, কর্মকর্তা ও কর্মচারী রয়েছেন এবং দক্ষিণ লেবাননে ইসরায়েলি বাহিনীর টানা হামলার জেরে তাদের নিরাপত্তা ঝুঁকি দিন দিন বাড়ছে।

এছাড়া পৃথক আরেক হামলায় সন্ধ্যায় রাজধানী বৈরুতের প্রাণকেন্দ্রে ইসরালি বাহিনীর গোলায় নিহত হয়েছেন ১১ জন এবং আহত হয়েছেন শতাধিক। ওই এলাকায় বসবাসকারী এবং সশস্ত্র ইসলামি গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর জ্যেষ্ঠ কমান্ডার ওয়াফিক সাফাকে লক্ষ্য করে এ হামলা চালানো হয়েছিল; তবে তিনি বেঁচে গেছেন।