২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪:৪৫

বাংলাদেশি নাগরিকদের ৪ শতাধিক ভিসা রিভিউ করল ভারত

বাংলাদেশি নাগরিকদের গত আগস্টে আবেদন করা চার শতাধিক ভিসা আবেদন রিভিউ করেছে ভারত। এর মাধ্যমে ভিসা দেওয়ার আগে গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা সংস্থার মাধ্যমে আবেদনকারীর ব্যাকগ্রাউন্ড চেক করা হয়েছে। বাংলাদেশিদের জন্য ভারতীয় ভিসা পরিষেবা অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত রয়েছে এবং এর মধ্যেই নির্দিষ্ট কিছু ক্যাটাগরির এসব ভিসার আবেদন পর্যালোচনা করল দেশটি।

বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু।

দ্য হিন্দু বলছে, বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ভিসা পরিষেবা অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত থাকলেও ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত আগস্ট মাসে বাংলাদেশ থেকে নির্দিষ্ট কিছু বিভাগে করা ৪০০টিরও বেশি ভিসা আবেদন পর্যালোচনা করেছে।

ছাত্র-জনতার ব্যাপক গণআন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর ব্যাপক রাজনৈতিক পরিবর্তনের সাক্ষী হয়েছে বাংলাদেশ।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত দুই মাস ধরে বাংলাদেশে ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্রগুলো কেবল শিক্ষার্থীদের এবং জরুরি চিকিৎসার উদ্দেশ্যে ভারতে যেতে ইচ্ছুক রোগীদের সীমিত সংখ্যক ভিসা পরিষেবা প্রদান করছে।

মূলত বাৎসরিক হিসাবে ভারতে সবচেয়ে বেশি বিদেশি পর্যটক যায় বাংলাদেশ থেকে। একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গত বছর প্রায় ১৬ লাখ বাংলাদেশি নাগরিককে ভিসা দেওয়া হয়েছে।

দ্য হিন্দু বলছে, ভিসা প্রদানের ক্ষেত্রে আফগানিস্তান, পাকিস্তান, ইরাক এবং সুদানের মতো দেশগুলোকে প্রিয়ার রেফারেন্স ক্যাটাগরির (পিআরসি) অধীনে রাখা হয়েছে, সেখানে চীন এবং বাংলাদেশের মতো নির্দিষ্ট দেশগুলোর জন্য নির্দিষ্ট কিছু ধরনের ভিসা রয়েছে, যেগুলো প্রদানের আগে অতিরিক্ত নিরাপত্তা পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হয়।

চীনা নাগরিকদের জন্য ভারতের ব্যবসায়িক ভিসা প্রিয়ার রেফারেন্স ক্যাটাগরির অধীনে না থাকলেও নিয়োগ এবং কনফারেন্স ভিসার জন্য বাড়তি যাচাইকরণ করা হয়ে থাকে। ভারত শুধুমাত্র জাপান, কোরিয়া প্রজাতন্ত্র এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই)  নাগরিকদের ব্যবসা, পর্যটন, সম্মেলন এবং চিকিৎসার উদ্দেশ্যে আসা নাগরিকদের ৬০ দিন পর্যন্ত ভিসা অন অ্যারাইভাল সুবিধা প্রদান করে।