নির্যাতিত সংখ্যালঘুদের ভারতে সাময়িক আশ্রয় দেওয়ার দাবি
বাংলাদেশে নির্যাতিত সংখ্যালঘুদের জন্য ভারতের সীমান্ত সাময়িকভাবে খুলে তাদের থাকার ব্যবস্থা করতে নরেন্দ্র মোদীর সরকারের কাছে দাবি তুলেছে ভারতের কয়েকটি সংগঠন।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) ক্যাম্পেইন এগেনস্ট অ্যাটর্সিটিস অন মাইনরিটিস ইন বাংলাদেশ (ক্যাম্ব) এবং অল ইণ্ডিয়া রিফিউজি ফ্রন্ট নামের দুটি সংগঠন কলকাতা প্রেস ক্লাবে একটি সংবাদ সম্মেলন করেছে।
বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের দেওয়া হিসাব তুলে ধরে ভারতের ওই সংগঠনগুলি বলছে, ৪ থেকে ২০ অগাস্ট পর্যন্ত বাংলাদেশে ২০১০ টি সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ঘটেছে যাতে অন্তত ৯ জন মারা গেছেন, ৬৯ টি উপাসনালয়ের ওপরে হামলা চালানো হয়েছে। সম্মেলনে শাহরিয়র কবীর, মুনতাসির মামুন ও রাণা দাশগুপ্তদের মতো অন্যান্য মানবাধিকার কর্মীদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলাগুলি অবিলম্বে তুলে নেওয়ারও দাবি জানানো হয়।
আরও পড়ুন: হিন্দু নাগরিকদের নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমকে যা জানালেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
ক্যাম্বের প্রধান মোহিত রায় বলেন, “আমরা ভারত সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি যে সীমান্ত উন্মুক্ত করে দেওয়া হোক। ইন্দিরা গান্ধী যেভাবে ১৯৭১ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের সীমান্ত খুলে দিয়ে প্রায় এক কোটি উদ্বাস্তুকে ভারতে সাময়িক আশ্রয় দিয়েছিলেন, সেভাবেই সীমান্ত অঞ্চলে উদ্বাস্তু শিবির খোলা হোক।”
এ সময় হিন্দুত্ববাদী নেতা ও ত্রিপুরার প্রাক্তন রাজ্যপাল তথাগত রায় সীমান্ত খুলে দিয়ে বাংলাদেশের যারা নির্যাতিত হচ্ছেন, তাদের ভারতে আসতে দেওয়ার ব্যাপারে নরেন্দ্র মোদীর সরকারের কাছে দাবি তোলেন।
তবে ঢাকা থেকে ওই সংবাদ সম্মেলনে যোগ দিয়ে বাংলাদেশ মাইনরিটি ওয়াচ নামের একটি সংগঠনের মহাসচিব রবীন্দ্র ঘোষ কলকাতার সংগঠনগুলির সঙ্গে এই বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করেন। রবীন্দ্র ঘোষ বলেন, “আমরা কেন আমাদের দেশের মাটি ছেড়ে চলে আসব? সেখানে থেকেই সংখ্যালঘু নির্যাতন বন্ধের লড়াই করতে হবে আমাদের।”
কলকাতা ভিত্তিক সংগঠনগুলি ভারত সরকারের কাছে আরও দাবি করেছে যে, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপরে নির্যাতন বন্ধে দিল্লির আরও সক্রিয় অবস্থান নেয়া প্রয়োজন। কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক এমন কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হোক যাতে বাংলাদেশ সরকার সংখ্যালঘু-বিরোধী কার্যক্রম বন্ধ করার ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়।
সূত্র: বিবিসি বাংলা
ভারত প্রসঙ্গে আরও পড়ুন......