দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়া কে এই অতিশী
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:২১ PM , আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:২৪ PM
ভারতের রাজধানী দিল্লির নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন আম আদমি পার্টির (এএপি) অন্যতম নেতা অতিশী মারলেনা সিং। শনিবার (২১ আগস্ট) শপথ নিয়েছেন তিনি। অতিশী দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হওয়া সবচেয়ে তরুণ নেতা।
দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক বিজয় সিং ও ত্রিপ্তা ওয়াহির মেয়ে অতিশীর প্রাথমিক পড়াশোনা স্প্রিংডেলস স্কুল থেকে। এরপর সেন্ট স্টিফেনস কলেজ থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন। উচ্চশিক্ষার জন্য অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ পান অতিশী। সেখান থেকেই স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
প্রতিষ্ঠার পর থেকেই দলের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে ছিলেন অতিশী। ২০১৩ সালের জানুয়ারিতে দলের নীতি-নির্ধারণী কমিটির সঙ্গে কাজ শুরু করেন তিনি। বছরের পর বছর ধরে দলের হয়ে কাজ করে একজন পরিশ্রমী ও দায়িত্বশীল দলীয় কর্মী হিসেবে সুনাম অর্জন করেন অতিশী। ২০১৫ সালে মধ্য প্রদেশের খান্ডোয়াতে আপ নেতা আলোক আগরওয়াল আয়োজিত জল সত্যাগ্রহে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন অতিশী। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে পূর্ব দিল্লি থেকে দলের প্রার্থী হিসেবে অতিশীকে বেছে নেয় আপ।
তবে বিজেপি প্রার্থী তথা ভারতীয় দলের বর্তমান কোচ গৌতম গম্ভীরের কাছে ৪.৭৭ লাখ ভোটের ব্যবধানে হেরে যান। এরপর ২০২৩ সালের মার্চ মাসে দিল্লি মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করা হয় অতিশীকে। দিল্লির অর্থ, শিক্ষা, রাজস্বসহ মোট ১৪টি দপ্তরের দায়িত্বে রয়েছেন ৪৩ বছর বয়সী অতিশী। কেজরিওয়াল জেলে থাকাকালীন আপের যে নেতারা দুর্গ সামলেছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম অতিশী। শিক্ষাক্ষেত্রে আপ সরকারের যে নামডাক, তারও কৃতিত্ব খানিকটা অতিশীকেই দেন দলীয় নেতাকর্মীরা।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, স্থাবর-অস্থাবর মিলিয়ে অতিশী ও তার স্বামীর মোট সম্পত্তির পরিমাণ ১.৪১ কোটি রুপি। কোথাও কোনো দেনা নেই অতিশীর।
এ ছাড়া হলফনামা অনুযায়ী, অতিশীর হাতে নগদ ৫০ হাজার রুপি রয়েছে। স্বামীর হাতে রয়েছে ১৫ হাজার রুপি। ব্যাংক ও অন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে জমা রয়েছে এক কোটি ৮৭ হাজার ৩২৩ রুপি। এলআইসি ও অন্যান্য বীমা পলিসি রয়েছে পাঁচ লাখ রুপির। আরো ১৮ লাখ ৬০ হাজার রুপি রয়েছে এনএসএস ও ডাকসঞ্চয় মিলিয়ে। অতিশীর স্বামী প্রবীণ সিং আইআইটি ও আইআইএম আহমেদাবাদ থেকে পড়াশোনা করেছেন। তিনি একজন প্রবীণ গবেষক ও শিক্ষাবিদ।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা