বাংলাদেশকে আমেরিকা-চীন দ্বন্দ্বের বলির পাঠা বানানো যাবে না: স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টি
ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্রাটেজিতে (আইপিএস) প্রবেশ করিয়ে বাংলাদেশকে আমেরিকা-চীন দ্বন্দ্বের বলির পাঠা বানানো যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দেওয়া এক বিবৃতিতে সংগঠনটির পক্ষ থেকে এ কথা বলা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি বা আইপিএস এর মত স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে কোনো ধরনের চুক্তি কিংবা সমঝোতা করতে হলে অবশ্যই জনগণের ম্যান্ডেট লাগবে, যা বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেই। আমেরিকার ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্রাটেজিতে প্রবেশ করিয়ে বাংলাদেশকে কোনোভাবেই আমেরিকা-চীন দ্বন্দ্বের বলির পাঠা বানানো যাবে না। যদি এমন কোনো কিছুর চেষ্টা করা হয় তাহলে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার স্বার্থে 'স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টি' কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে।
সেখানে বলা হয়, পররাষ্ট্র উপদেষ্টার উপর্যুক্ত বক্তব্যে আমরা অর্থাৎ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ছাত্র-যুবকদের প্লাটফর্ম 'স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টি' অত্যন্ত উদ্বেগ প্রকাশ করছি। আমাদের স্পষ্ট বার্তা হচ্ছে, আমেরিকার ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্রাটেজিতে প্রবেশ করিয়ে বাংলাদেশকে কোনোভাবেই 'আমেরিকা-ভারত বনাম চীন' দ্বন্দ্বের প্রক্সি স্টেট বা, বলির পাঠা বানিয়ে দেশের সার্বভৌমত্বকে বিকিয়ে দেয়া যাবে না। এখানে বাংলাদেশকে অবশ্যই নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতে হবে। না চীন, না আমেরিকা এখানে আমরা কোনো জোটে যেতে চাই না।
আরও পড়ুন: চীনে মন্দা অর্থনীতির প্রভাবে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম সর্বনিম্ন
নেতৃবৃন্দ বলেন, পররাষ্ট্রনীতিতে এখানে আমরা সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ ও স্বাধীন থাকতে চাই। মূলত, চীনের সাথে আমেরিকা, ভারত ও জাপানের সামরিক ও বাণিজ্যিক বৈরিতা থাকায় ওসব দেশগুলোর নিজস্ব স্বার্থেই যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে তারা আইপিএস গঠন করেছে। কিন্তু চীনের সাথে বাংলাদেশের বৈরিতা নেই, আবার আমেরিকার সাথেও বৈরিতা নেই। এজন্য চীন ও আমেরিকার দ্বন্দ্বে বাংলাদেশ জড়াতে পারে না। এখানে বাংলাদেশকে অবশ্যই নিরপেক্ষ থাকতে হবে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি এটাই আমাদের বার্তা। এর বিপরীতে আইপিএসে যোগ দেয়ার চেষ্টা করা হলে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার স্বার্থে 'স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টি' কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে।