এবার নিষিদ্ধ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ স্থাপনার ছবি প্রকাশ্যে আনল উত্তর কোরিয়া
নিষিদ্ধ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ স্থাপনার ছবি প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে এনেছে উত্তর কোরিয়া। সম্প্রতি যেটি পরিদর্শন করেছেন দেশটির সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন। শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ইউরেনিয়াম স্থাপনা পরিদর্শনের সেই ছবি প্রকাশ করেছে দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম।
কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি (কেসিএনএ) এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পরমাণু অস্ত্র ইনস্টিটিউট এবং অস্ত্র-গ্রেডের পারমাণবিক উপকরণগুলোর জন্য একটি উৎপাদন ঘাঁটি পরিদর্শন করেন কিম। কিমের এই ছবি পশ্চিমা বিশ্বের চাপ উপেক্ষা করে পারমাণবিক কর্মসূচিতে অটল থাকার আভাস বলে মনে করা হচ্ছে।
যদিও এ ধরনের পারমাণবিক কর্মসূচি একাধিক জাতিসংঘ নিরাপত্তা কাউন্সিল রেজোল্যুশনের অধীনে নিষিদ্ধ। এই ছবিটি এমন এক সময় প্রকাশ করা হলো যখন উত্তর কোরিয়া তার অবৈধ পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচিকে আরও জোরদার করছে।
প্রতিবেদনটিতে পরিদর্শনের অবস্থান এবং সঠিক তারিখ প্রকাশ করা হয়নি। তবে কেসিএনএ এর মতে, তার পরিদর্শনের উদ্দেশ্য ছিল পারমাণবিক উপকরণের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য একটি দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা তৈরি করা।
২০১০ সালে সিগফ্রিড হেকার নামে এক মার্কিন পরমাণু বিজ্ঞানী নিউ ইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলছিলেন, উত্তর কোরীয় সফরে তিনি পারমাণবিক স্থাপনা দেখেছেন। সেখানে তিনি ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের শত শত সেন্ট্রিফিউজ লক্ষ্য করেছেন। এসব সেন্ট্রিফিউজ পরমাণু অস্ত্র তৈরীতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
ওই সময় কোরীয় কর্তৃপক্ষ দাবি করে, তারা এসব সেন্ট্রিফিউজ ব্যবহার করছে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য। বিভিন্ন সময়ে জাতিসংঘ জানিয়েছে, নিষিদ্ধ পারমাণবিক চুল্লি চালু করেছে উত্তর কোরিয়া। আর ২০২৩ সালে পরমাণু অস্ত্র নিয়ে সংবিধান সংশোধন করে উত্তর কোরিয়া। জাপান, যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে নিরাপত্তা সহযোগিতা বৃদ্ধির কারণ দেখিয়ে পরমাণু অস্ত্র বৃদ্ধি সংক্রান্ত অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে আসছেন কিম জং উন।
কিমের দাবি, পরমাণু অস্ত্র তৈরি বাড়ানো এবং নানা ধরনের অস্ত্র বানানোর অর্থ হলো, সেগুলোকে বিভিন্ন জায়গায় মোতায়েন করা। তার অভিযোগ, যুক্তরাষ্ট্র এই অঞ্চলে এসে সামরিক মহড়া করছে, নানাভাবে উসকানি দিচ্ছে। তার মতে, যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের জোট হলো এশিয়ার ন্যাটো। এই জোট বিপজ্জনক।