পুতিনের দেশে ঠাঁই মিলছে শেখ হাসিনার?
ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনে তোপের মুখে পড়ে গত ৫ আগস্ট ভারতে পালিয়ে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশ ত্যাগের পর থেকে ভারতের দিল্লিতে অবস্থান করছেন শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানা। এক মাসের অধিক সময় ধরে তারা সেখানেই আছেন। এদিকে দিন যত যাচ্ছে তত শেখ হাসিনার বিভিন্ন দেশে রাজনৈতিক আশ্রয় পাওয়া কঠিন হয়ে যাচ্ছে।
জানা গেছে, দিল্লির উপকণ্ঠে একটি আধাসামরিক বাহিনীর অতিথি নিবাস বা ‘সেফ হাউসে’ থাকছেন তারা। যদিও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর শুরুতেই দেশের পার্লামেন্টে জানিয়েছিলেন, ভারত সরকারের কাছে শেখ হাসিনা ‘সাময়িকভাবে’ এ দেশে আসার অনুমোদন চেয়েছিলেন এবং তা মঞ্জুর হওয়ার পরই তিনি ভারতের মাটিতে পা রেখেছেন।
গণমাধ্যম তথ্য অনুযায়ী, শেখ হাসিনার যে ‘ডিপ্লোম্যাটিক পাসপোর্ট’ ছিল তা এখনো বৈধ এবং সেই পাসপোর্টের সুবাদে তিনি অন্তত দেড় মাস কোনো ভিসা ছাড়াই অনায়াসে ভারতে অবস্থান করতে পারেন। ইতিমধ্যে ৩২ দিন পার হয়েছে এবং ভারতের আইন অনুযায়ী, আর ১৩ দিন দেশটিতে থাকতে পারবেন তিনি। এদিকে শেখ হাসিনা ভারতে অবস্থান করায় ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক অবনতি হচ্ছে।
শেখ হাসিনার পরবর্তী গন্তব্য কোথায় হবে তা কঠোর গোপনীয়তার মধ্যে রেখেছে ভারত। ভারতের বিভিন্ন সূত্রের খবর, শেখ হাসিনা ভারতে অবস্থান করলে বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক ধরে রাখা কঠিন হবে। তাই ভারতের বিশ্বস্ত কোনো দেশে শেখ হাসিনার আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশের গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়, শেখ হাসিনা একনায়ক পুতিনের দেশ রাশিয়ায় যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। রাশিয়ার যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রস্তুত করা হচ্ছে বলে জানা যায়।
সূত্রের আরো খবর, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ভারত রাশিয়ার হামলার ব্যাপারে নীরবতা পালন করে। মার্কিন নিষেধাজ্ঞা সত্বেও রাশিয়ার সাথে বাণিজ্য সম্পর্ক বৃদ্ধি করে। এর ফলে দুদেশের সাথে পূর্বের চেয়ে সম্পর্ক আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই ভারতের অনুরোধে শেখ হাসিনার রাশিয়ায় আশ্রয় পাওয়া সহজ।