হাতে হাত রেখে এই প্রথম নির্বাচনী প্রচারণায় বাইডেন-কমলা
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কমলা হ্যারিস গতকাল সোমবার হাতে হাত রেখে প্রথম একসঙ্গে নির্বাচনী প্রচারণা নেমেছেন। কমলা হ্যারিসকে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে বাইডেনের স্বীকৃতির পর এটিই তাদের প্রথম একসঙ্গে চালানো প্রচারণা।
আগামী ৫ নভেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কমলার প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যটিকে খুব হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের এলাকা বলে বিবেচনা করা হচ্ছে। সেখানকার ভোটারদের কাছে টানতেই প্রচার চালিয়েছেন বাইডেন ও কমলা।
সেখানে তারা পিটসবার্গে শ্রমিক সংঘের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন। এরপর বাইডেন ও কমলা পাশাপাশি দাঁড়িয়ে প্রায় ৬০০ সমর্থকের উদ্দেশে বক্তব্য দেন।
বাইডেন বলেন, ‘কমলা হ্যারিসকে আরও সামনে এগিয়ে নিয়ে যাব। আমি সাইডলাইনে থাকব, তবে সহযোগিতা করার জন্য যা কিছু করার, তা আমি যথাযথ করব। আমাদের অনেক অগ্রগতি হয়েছে। একে ভিত্তি করে আমি ও কমলা আরও অগ্রগতি করছি। তিনি (কমলা) একে আরও সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবেন। আমি সাইডলাইনে থাকব, তবে সহযোগিতা করার জন্য যা কিছু করার, তা আমি করব।’
প্রথমে ৮১ বছর বয়সী বাইডেন ডেমোক্র্যাট দল থেকে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হয়েছিলেন। তবে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বিতর্কে ব্যাপক ধরাশায়ী হন তিনি। এরপর বাইডেনের শারীরিক-মানসিক সক্ষমতা নিয়ে দলের ভেতরেই প্রশ্ন ওঠে। এমন অবস্থায় তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়ান এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে স্বীকৃতি দেন।
সোমবার উপস্থিত সমর্থকদের উদ্দেশে বাইডেন বলেন, ‘এই সময়ে আপনাদের যুক্তিসংগত পছন্দের জন্য শুধু একজনই আছেন—তিনি হলেন কমলা হ্যারিস।’
‘আমি তাকে চিনি, তাকে ভরসা করি। তার মেরুদণ্ড লোহার দণ্ডের মতো শক্ত, অবস্থান বোঝার ক্ষমতা সাধুর মতো। এ নারী যা করেন, জেনেবুঝেই করেন। আমি আপনাদের আশ্বস্ত করছি, আপনারা যদি কমলা হ্যারিসকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করেন, তবে তা হবে এ যাবৎকালে আপনাদের নেওয়া সবচেয়ে ভালো সিদ্ধান্ত।’ বলেন বাইডেন।
এদিকে বিভিন্ন জনমত জরিপে দেখা গেছে, কমলা হ্যারিস প্রার্থী হওয়ার পর থেকে ডেমোক্র্যাটদের জন্য রিপাবলিকান ট্রাম্পকে পরাজিত করার সুযোগ ক্রমাগত বাড়ছে। তবে শেষ পর্যন্ত কী হবে, তা একেবারেই অনিশ্চিত।
বাইডেনের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করে কমলা বলেন, ‘জো বাইডেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আমাদের দেখা সবচেয়ে রূপান্তরকারী প্রেসিডেন্টদের একজন এবং তিনি আন্তরিকতা থেকেই এটা করেন। সত্যি কথা বলতে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে শ্রমিক সংঘবদ্ধ হওয়ায় আমরা গর্ববোধ করি এবং এ নিয়ে আমি ও বাইডেন অনেক কথা বলেছি।’