আঘাত হানার আগেই ঘূর্ণিঝড় ‘আসনা’র প্রভাবে পাকিস্তানে ২৪ জনের মৃত্যু
ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘আসনা’। উত্তর-পূর্ব আরব সাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি পশ্চিম দিকে অগ্রসরের সঙ্গে ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘আসনা’য় পরিণত হয়েছে। আরব সাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘আসনা’র প্রভাবে পাকিস্তানে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। এ ভারী বৃষ্টিপাতে এখন পর্যন্ত ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে এখনো এই ভূমিকম্প দেশটিতে আঘাত হানেনি। খবর দ্য ডনের।
উত্তরের আপার দিরে অবিরাম বর্ষণে ভূমিধসের কারণে বাড়ির ছাদ ধসে এক পরিবারের ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, শুক্রবার ভোরে ভূমিধসের সময় নিহতরা রাময়াল গ্রামে তাদের বাড়িতে ছিলেন।
এছাড়া সিন্ধুর জামশোরো, দাদু ও মিরপুরখাস জেলায় বৃষ্টিজনিত ঘটনায় অন্তত ৯ জন প্রাণ হারিয়েছেন। টোবা টেক সিং-এর একটি গ্রামে একজন ব্যক্তি ও তার বোন মারা গেছেন। এছাড়া প্রবল বৃষ্টিতে বাড়ির ছাদ ধসে নিচে চাপা পড়ে একই পরিবারের তিনজন আহত হয়েছে।
শুক্রবার (৩০ আগস্ট) ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, গভীর নিম্নচাপটি শক্তি সঞ্চয় করে ইতোমধ্যেই ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। কচ্ছ ও সংলগ্ন পাকিস্তানের উপকূলবর্তী এলাকায় অবস্থান করছে। ক্রমে উত্তর-পূর্ব আরব সাগরের পশ্চিম দিকে সরে যাচ্ছে। পাকিস্তানের করাচির দিকে অগ্রসর হচ্ছে ঘূর্ণিঝড়টি।
এদিকে ভারতের আবহাওয়া বিভাগের (আইএমডি) পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এই ঘূর্ণিঝড় ‘আসনা’ আগঅত হানতে পারে ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য গুজরাটের পাশাপাশি পাকিস্তানের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ সিন্ধের উপকূলে। এরপর এটি উত্তর-পূর্ব আরব সাগরের ওপর দিয়ে ওমানের দিকে অগ্রসর হতে পারে।
ভারতের আবহাওয়াবিদরা বলছেন, বর্ষার মৌসুমে এই অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় বিরল। সাধারণত জুন থেকে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর শক্তিশালী প্রতিরোধের জন্য নিম্নচাপগুলো ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হতে পারে না।
কর্মকর্তারা বলছেন, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ভারতীয় উপকূল থেকে দূরে সরে যাবে ‘আসনা’। তবে নিম্নচাপের কারণে গত কয়েক দিন ধরে গুজরাটে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। লাগাতার বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত জনজীবন। ঘূর্ণিঝড়টি পাকিস্তানের দিকে অগ্রসর হলেও গুজরাটের ওপর থেকে শিগগিরই দুর্যোগের শঙ্কা কাটছে না। আগামী দু’দিন রাজ্যটির উপকূলবর্তী এলাকায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।