আর জি করে ধর্ষণের ঘটনার পর প্রাক্তন অধ্যক্ষের ঘনিষ্ঠদের আনাগোনা ছিল
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে আর জি কর হাসপাতালে ধর্ষণ এবং খুনে পরে ঘটনাস্থলে নিয়ম ভেঙে একাধিক ব্যক্তি আনাগোনা করেছেন বলে অভিযোগ করেছে ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টরস্ ফোরাম। এক বিবৃতিতে তারা দাবি করেছে, তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ। এ পরিকল্পিত অপরাধ এবং এটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা প্রত্যেকের বিচারের দাবিও জানিয়েছেন ফোরামের চিকিৎসকরা।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আমরা গভীর দুঃখ এবং উষ্মার সঙ্গে দেখলাম যে, এতদিন ধরে আমরা যেটা বলে আসছিলাম, সেটাই সত্যি বলে প্রমাণিত হলো। বিভিন্ন নিউজ চ্যানেলে প্রচারিত ভিডিও ফুটেজে দেখলাম যে, আর জি করের হতভাগ্য তরুণী ধর্ষিত এবং খুন হওয়ার পরে সেই ঘরে অর্থাৎ অকুস্থলে একাধিক ব্যক্তি আনাগোনা করেছেন সেদিন। তাদের মধ্যে বেশ কিছু জন কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ কুখ্যাত সন্দীপ ঘোষের অতীব ঘনিষ্ঠ।
তারা বলেন, আমরা ডাক্তারি পড়াকালীন ফরেসনিক মেডিসিনে পড়েছি ‘Crime scene’ বা কোনো ঘটনার অকুস্থল এবং তৎসংলগ্ন এলাকা আটকে রাখা হয়, যাতে সে অপরাধের তথ্যপ্রমাণ লোপাট না হয়। আর আমরা দেখলাম আর জি করে ঠিক তার উল্টোটা হয়েছে। পুলিশের সামনে প্রচুর লোক অকুস্থলে ঘোরাঘুরি করেছে। কোন সময়ে? যখন আমাদের বোন ধর্ষিতা এবং খুন হয়ে পড়ে আছে সেখানে, যখন তার হতভাগ্য বাবা-মা ছটফট করছে বাইরে থেকে। তাদেরকে নিজের মেয়েকে দেখার অনুমতি দেওয়া হয়নি।
আরো পড়ুন: কলকাতার ধর্ষণ-হত্যার প্রতিবাদে বাংলাদেশের কোটা আন্দোলনই কি পথ দেখাচ্ছে?
এর থেকে নির্মম, এর থেকে নৃশংস, এর থেকে অমানবিক কিছু হয় বলে আমরা মনে করি না। এমন মন্তব্য তারা বলেছেন, এ সব ব্যাপার যে একই সূত্রে গাঁথা; অর্থাৎ ঘটনার পর একাধিক ঘনিষ্ঠ লোকজন নিয়ে এসে সত্য ঘটনা আড়াল করার শলা পরামর্শ এবং তথ্য প্রমাণ লোপাট, উপযুক্ত কোনো ওয়ার্ক অর্ডার ছাড়া স্বাস্থ্য দপ্তরের বড় কর্তার মৌখিক নির্দেশে চেস্ট ডিপার্টমেন্ট এ রেনোভেশন এর নামে দেওয়াল ভাঙ্গা এবং ১৪ আগস্ট রাতে দুষ্কৃতী বাহিনী এনে পরিকল্পিত গুন্ডামি। সব পরিকল্পনা এখন দিনের আলোর মত পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আমরা ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টরস্ ফোরাম’ আবারো বলছি এই পরিকল্পিত ঘৃণ্য অপরাধ এবং তাকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা প্রত্যেকটি লোকের বিচার চাই। কেউ যেন ছাড়া না পায়। নইলে রাজ্যের সাধারণ মানুষ এক হয়ে ন্যায় বিচার ছিনিয়ে আনবে।