ভারতে অনুপ্রবেশের অভিযোগে ৮ বাংলাদেশি আটক
ভারতের একাধিক স্থান থেকে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ ও অবস্থানের অভিযোগে অন্তত ৮ বাংলাদেশিকে আটক করেছে দেশটির আইনশৃঙ্খলাবাহিনী। মহারাষ্ট্রের থানে ও আসামের করিমগঞ্জ জেলা থেকে তাদের আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা পিটিআইয়ের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, মহারাষ্ট্রের থানে জেলায় অবৈধভাবে অবস্থানের অভিযোগে পাঁচ বাংলাদেশি নারীকে আটক করেছে পুলিশ। আটকের সময় তাদের কাছে বৈধ কোনও নথি পাওয়া যায়নি। মীরা ভায়ান্দর-ভাসাই ভিরারের মানবপাচার বিরোধী সেল এই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
থানে জেলার সহকারী পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) মদন বল্লাল বলেন, কিছু বাংলাদেশি নাগরিক মীরা রোড এলাকায় অবৈধভাবে বসবাস করছেন বলে গোপন তথ্য পাওয়ার পর শনিবার দুটি বস্তিতে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে পাঁচ বাংলাদেশি নারীকে আটক করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের সময় তারা ভারতে অবস্থানের বিষয়ে বৈধ কোনও নথি দেখাতে পারেননি।
পাসপোর্ট (ভারতে প্রবেশ) ও ফরেইনারস অ্যাক্টের আওতায় মীরা রোড ও নয়ানগর থানায় তাদের বিরুদ্ধে এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়েছে। আটক পাঁচ বাংলাদেশির বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এদিকে, মঙ্গলবার আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেছেন, ভারতে অবৈধভাবে প্রবেশের দায়ে আসাম পুলিশ তিন বাংলাদেশিকে আটক করেছে। পরে তাদের বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়। আসামে আটককৃতরা বাংলাদেশের রাজশাহী জেলার বাসিন্দা এবং কাজের সন্ধানে চেন্নাই যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন তারা।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া পোস্টে আসামের এই মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, ‘‘আসাম পুলিশ সোমবার রাতে ত্রিপুরা সীমান্ত দিয়ে আসামে প্রবেশকারী তিন বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করেছে। আটককৃতরা হলেন, মো. আবু শাইদ, আসাদুল ইসলাম এবং মো. সারওয়ার।’’
আটককৃতদের মধ্যে একজনের কাছে আধার কার্ড পাওয়া গেছে। তিনি দ্বিতীয়বারের মতো ভারতে প্রবেশ করেছিলেন বলে জানিয়েছেন হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। তিনি বলেন, তিনজনই কাজের সন্ধানে চেন্নাইয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। পরে তাদের বাংলাদেশে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
রাজ্যের জ্যেষ্ঠ এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, ত্রিপুরা লাগোয়া আন্তঃরাজ্য সীমান্ত দিয়ে আসামের করিমগঞ্জ জেলায় প্রবেশের চেষ্টা করার সময় আটক হয়েছেন ওই তিন বাংলাদেশি।
এছাড়া পৃথক এক ঘটনায় সোমবার রাতে ধুবড়িতে এক বাংলাদেশি নারীকে আটক করে বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ধুবড়ি পুলিশের জ্যেষ্ঠ এক কর্মকর্তা বলেছেন, জিজ্ঞাসাবাদে ওই নারী গত ১৭ আগস্ট অন্য ১৫ জনের সঙ্গে বাংলাদেশ ছাড়েন এবং পরের দিন দুই দালালের সহায়তায় ভারতে প্রবেশ করেছেন বলে জানিয়েছেন।