অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহ প্রকাশ
শেখ হাসিনার পতনের পর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হতে যাওয়া বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তুত। এমনটাই জানিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তর। ওয়াশিংটনের স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার এক নিয়মিত ব্রিফিংয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এ কথা বলেন।
এক প্রশ্নের জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, ‘বাংলাদেশে যা ঘটছে, তার ওপর আমরা নজর রাখছি এবং আমরা নিশ্চিতভাবেই মুহাম্মদ ইউনূসকে অন্তর্বর্তী সরকারের নেতা নিয়োগ দিতে দেখছি। আমরা মনে করি, বাংলাদেশে দীর্ঘ মেয়াদে শান্তি ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় অন্তর্বর্তী সরকার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।’
ছাত্র–জনতার বিক্ষোভের মুখে গত সোমবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেশত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। বর্তমানে তিনি ভারতে অবস্থান করছেন। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হচ্ছে। শান্তিতে নোবেলবিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে আজ রাত সাড়ে আটটায় নতুন সরকারের উপদেষ্টাদের শপথ গ্রহণ হবে বলে বঙ্গভবন সূত্রে জানা গেছে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের আরেকজন মুখপাত্র ভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেছেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারবিষয়ক সব সিদ্ধান্ত গণতান্ত্রিক নীতি, আইনের শাসন এবং বাংলাদেশের জনগণের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী হওয়া উচিত।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত আছি, যেহেতু তারা বাংলাদেশের জনগণের জন্য একটি গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ তৈরি করবে।’
এর আগে, গত সোমবার হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক অধিকারকে সম্মান করার আহ্বান জানিয়ে আসছে এবং আমরা এখন আমরা অন্তর্বর্তী সরকার গঠনকে গণতান্ত্রিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক করার আহ্বান জানাচ্ছি। আজ যে সংযম দেখিয়েছে, তার জন্য আমরা সেনাবাহিনীর প্রশংসা করি।’
সে সময় হোয়াইট হাউস ও মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর পৃথকভাবে বাংলাদেশের দলগুলোকে সহিংসতা থেকে বিরত থাকতে ও দ্রুত শান্তি ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানায়। স্টেট ডিপার্টমেন্টের এক মুখপাত্র সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের ঘোষণাকে স্বাগত জানাই।’