সাবেক ছাত্রের কোপে কেটে যায় গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীর স্বরনালী

পশ্চিমবঙ্গের গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়
পশ্চিমবঙ্গের গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়  © আনন্দবাজার

পশ্চিমবঙ্গের গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রীকে ধারালো অস্ত্রের কোপ মারার পর নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন যুবক। তারা দু’জনই সঙ্কটজনক অবস্থায় মালদহ মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে অস্ত্রোপচার সফল হলেও তাদের বিপদ কাটেনি বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

বিশ্ববিদ্যালয়টির গণিত বিভাগের ছাত্রীকে বৃহস্পতিবার ক্যাম্পাসে আচমকা কোপাতে শুরু করেন যুবক। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়েরই প্রাক্তন ছাত্র। পরে নিজের গলাতেও কোপ মারছিলেন তিনি। দু’জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাদের রাখা হয়েছে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে। 

চিকিৎসকেরা জানান, তাঁদের স্বরনালিতে গভীর ক্ষত রয়েছে। শরীর থেকে অনেক রক্ত বেরিয়ে গেছে। সে কারণেই সঙ্কটে রয়েছেন দু’জন। তবে যুবকের অবস্থা বেশি শোচনীয়। গণেশচন্দ্র গাইনের নেতৃত্বে চিকিৎসকদের একটি দল দু’জনকে দেখছে। তবে স্বরনালিতে ক্ষত থাকায় দু’জনের কেউ কথা বলতে পারছেন না। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ৩৬ ঘণ্টা পর তাদের পরিস্থিতি সম্পর্কে বলা যাবে।

আরো পড়ুন: ফের ছাত্র নির্যাতন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে, হাসপাতালে স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী

আক্রান্ত ছাত্রী আসাম থেকে গৌড়বঙ্গে পড়তে এসেছিলেন। হামলাকারী ছাত্র বিশ্ববিদ্যালয়েরই বিজ্ঞান বিভাগে পড়াশোনা করেছেন। কী কারণে এ হামলা, তা এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, ছাত্রীকে আক্রমণ করার পর ধাওয়া খেয়ে অন্যত্র চলে যান যুবক। সেখানে গিয়ে নিজের গলায় একাধিক কোপ মারেন। সে কারণেই তাঁর ক্ষত বেশি। পুলিশের অনুমান, দু’জনের মধ্যে আগে থেকে সম্পর্ক ছিল। আনন্দবাজার।


সর্বশেষ সংবাদ