চীনের মধ্যস্থতায় সরকার গঠনে হামাস ও ফাতাহের চুক্তি
ফিলিস্তিনে যুদ্ধ পরবর্তী ঐকমত্যের সরকার গঠনের লক্ষ্যে চীনের মধ্যস্থতায় চুক্তিতে উপনীত হয়েছে বড় দুই রাজনৈতিক দল হামাস এবং ফাতাহ। গত মঙ্গলবার বেইজিংয়ে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ইসরায়েলি জুলুমের বিরুদ্ধে সম্মিলিতভাবে লড়াইয়ের জন্য দলগুলোর এই চুক্তি বলে জানা গেছে।
গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শেষ হওয়ার পর অঞ্চলটির শাসনকাঠামো নির্ধারণই এ চুক্তির লক্ষ্য। হামাস ও পশ্চিম তীরের ক্ষমতাসীন দল ফাতাহ ছাড়াও দেশটির আরও ১২টি স্বাধীনতাকামী সংগঠন এই চুক্তিতে অংশ নিয়েছে। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেছেন, তিন দিন ধরে ব্যাপক আলোচনার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যুদ্ধপরবর্তী গাজা শাসনের লক্ষ্যে একটি অন্তর্বর্তীকালীন জাতীয় ঐকমত্যের সরকার গঠিত হবে।
মঙ্গলবার (২৪ জুলাই) বেইজিংয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতা মূসা আবু মারজুক বলেন, জাতীয় ঐক্যের সরকার গঠনে আজ আমরা একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছি, এটি হচ্ছে জাতীয় ঐক্যের দিকে আমাদের পথচলার শুরু।
ইতিপূর্বে হামাস ও ফাতাহের মধ্যে স্থাপনের একাধিক চেষ্টা ব্যর্থ হয়। অবশেষে চীনের কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় একই ছাদের নিচে আসতে যাচ্ছে দল দুটি। হামাস নেতা মূসা আবু মারজুক সংবাদমাধ্যম তার প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বলেছেন, আমরা ইতিহাসের একটি সন্ধিক্ষণে পৌঁছেছি। ভয়াবহ ইসরায়েলি জুলুমের বিরুদ্ধে সম্মিলিতভাবে লড়াইয়ের জন্য ফিলিস্তিনিদের সামনে ঐক্যবদ্ধ হওয়া ছাড়া আর কোনো পথ নেই।