ইসরায়েলি হামলায় ফিলিস্তিনের ৭৬ শতাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ধ্বংস
গাজার উপত্যকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় একের পর এক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। যুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আশ্রয় নিয়েছিল বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা। সেখানেও রেহাই মিলছে না তাদের। একের পর এক ইসরায়েলি হামলায় মারা পড়ছে অথবা আহত হচ্ছে। অনেকেই আশ্রয় হারিয়ে ছুটছে নতুন আশ্রয়ের খোঁজে।
জাতিসংঘের ফিলিস্তিনবিষয়ক শরণার্থী সংস্থা গতকাল জানিয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে ইসরায়েল যেসব স্থানে বিমান হামলা চালিয়েছে তার মধ্যে ৬৯ শতাংশ বিদ্যালয় ভবন। যেখানে আশ্রয় নিয়েছিল বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা।
বিবৃতিতে সংস্থাটি বলছে, মানবতার এমন নির্লজ্জ লঙ্ঘন কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। গাজায় এখনই যুদ্ধবিরতি প্রয়োজন। এর আগে গত শুক্রবার সংস্থাটি জানিয়েছিল, ইসরায়েলি হামলায় গাজার ৭৬ শতাংশ বিদ্যালয় বিধ্বস্ত হয়েছে অথবা অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এদিকে ২৪ ঘণ্টায় গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি হামলায় আরো শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। শনিবার বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় জানায়, ইসরায়েলের হামলায় গাজার ১০১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এছাড়া ওই হামলায় আহত হয়েছে ১৬৯ ফিলিস্তিনি। হতাহতদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। এতে উপত্যকাটিতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৭ হাজার ৫৫১। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, তেল আবিবের হামলায় ৮৫ হাজার ৯১১ ফিলিস্তিনি আহত হয়েছে, যার বেশির ভাগ নারী ও শিশু।