১৯ জুন ২০২৪, ১০:১১

তীব্র তাপপ্রবাহে চলতি বছর ৫৫০ হজযাত্রীর মৃত্যু

তীব্র তাপপ্রবাহে চলতি বছর ৫৫০ হজযাত্রীর মৃত্যু  © সংগৃহীত

চলতি বছর সৌদি আরবে হজের সময় অন্তত ৫৫০ হজযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে বেশির ভাগ তীব্র গরমে অসুস্থ হয়ে মারা গেছেন। জানা গেছে, নিহতদের মধ্যে ৩২৩ জনই মিশরের নাগরিক। যাদের অধিকাংশই তাপপ্রবাহজনিত কারণে মারা গেছেন।  এর বাইরে মৃতদের তালিকায় জর্ডান, ইন্দোনেশিয়া, ইরান এবং সেনেগালের হজযাত্রীরাও রয়েছেন।

মঙ্গলবার (১৮ জুন) দুই আরব কূটনীতিকের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে যুক্তরাজ্য ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান।

একজন কূটনীতিক জানান, মক্কার পার্শ্ববর্তী বৃহত্তম আল-মুয়াইসেম হাসপাতালের মর্গ থেকে হজযাত্রী মৃত্যুর সংখ্যাটি পাওয়া গেছে। মিশরীয়দের বলতে গেলে সবাই তীব্র গরমের কারণে মারা গেছে বলে জানান তিনি। অপরদিকে জর্ডানের অন্তত ৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে। কূটনীতিকরা বলছেন, আম্মান কর্তৃক মঙ্গলবারের আগে দেওয়া এ সংখ্যা ছিল ৪১। 

এএফপির তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত একাধিক দেশ থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে হজযাত্রী মৃতের সংখ্যা ৫৭৭। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে এএফপি জানিয়েছে, মৃত হজযাত্রীদের মধ্যে ৫৭৫ জনই মারা গেছেন হিটস্ট্রোক ও গরমজনিত অন্যান্য শারীরিক সমস্যায়। বাকি ২ জন মারা গেছেন পাথর নিক্ষেপের সময় পদদলিত হয়ে। আল-মুয়াইসেমের মর্গে ৫৫০ জনের মরদেহ রয়েছে বলে জানিয়েছেন কূটনীতিকেরা।

এদিকে সৌদি কর্তৃপক্ষ হজযাত্রী মৃত্যুর বিষয়ে কোনো তথ্য দেয়নি। তবে তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে গরমে অসুস্থ হয়ে দুই হাজার জনের বেশি হজযাত্রীর চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানানো হয়েছে। 

উষ্ণ মরু জলবায়ুর দেশ সৌদি আরবে গ্রীষ্মকালে গড় তাপামাত্রা থাকে ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি। গত কয়েক দিন ধরে দেশটির দৈনিক তাপমাত্রা ৫১ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যাচ্ছে। আবহাওয়া দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, সোমবার মক্কার তাপমাত্রা ছিল ৫১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

গত বছর বিভিন্ন দেশের অন্তত ২৪০ হজযাত্রীর মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। যাদের অধিকাংশই ছিলেন ইন্দোনেশিয়ার নাগরিক।

ইসলামের পঞ্চম স্তম্ভের একটি হজ। ধর্মীয় বিধান অনুযায়ী, প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক ও সামর্থ্যবান মুসলিম নারী-পুরুষের জন্য জীবনে অন্তত একবার হজ করা ফরজ। প্রতিবছর বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লাখ লাখ মানুষ হজ করতে সৌদি আরব যান। এবার ১৮ লাখের বেশি মানুষ হজে অংশ নেন। হজের অনেক আনুষ্ঠানিকতা খোলা জায়গায় করতে হয়। এতে করে বেশি স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়েন বয়স্করা।