পশ্চিমবঙ্গের সব কলেজে ভর্তিতে বাংলাদেশের মতো অভিন্ন পোর্টাল
বিগত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশের উচ্চ মাধ্যমিকে অর্থাৎ কলেজে ভর্তিতে আবেদন অভিন্ন পোর্টালে নেয়া হচ্ছে। এবার সে পথে হাঁটল ভারতের পশ্চিমবঙ্গ। এবার রাজ্যটির সব কলেজে অভিন্ন পোর্টাল ভর্তি নেওয়া হবে। একটি পোর্টালেই আবেদন করে এবার রাজ্যের কলেজে ছাত্র-ছাত্রীরা ভর্তি হতে পারবেন।
অনলাইনে ২০টিরও বেশি কলেজে করা যাবে ভর্তির আবেদন। কেন্দ্রীয়ভাবে প্রকাশিত হবে কলেজ ভিত্তিক মেরিট লিস্ট। আগামী মঙ্গলবার কলেজে ভর্তির নতুন বিধি ঘোষণা করতে পারে রাজ্য সরকার। সূত্র এবিপি আনন্দ লাইভ।
জানা গেছে, গত ৮ মে রাজ্যের উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ হয়েছে। তার পরে এক মাসের বেশি সময় কেটে গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত কলেজে ভর্তিক ব্যাপারে রাজ্য সরকার কোনও উচ্চবাচ্য করছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। এরই মধ্যে সূত্রে খবর, আগামী মঙ্গলবারই সরকার নতুন বিধি প্রকাশ্যে আনছে। সেখানে একটা পোর্টালেই গোটা রাজ্যজুড়ে ভর্তির আবেদন করা যাবে।
অর্থাৎ, কলেজে কলেজে গিয়ে ফর্ম তোলা, ছাত্র সংসদের পাল্লায় পড়া বা বিভিন্ন রকমের যেসব অভিযোগ আসে, সেইসব অভিযোগ ওড়ানোর কৌশল অভিন্ন পোর্টাল। গোটা রাজ্যের যে কোনও জায়গা থেকে যে কোনও ছাত্র-ছাত্রী অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। একজন ছাত্র বা ছাত্রী ২০টিরও বেশি জায়গায় আবেদন করতে পারবেন।
রাজ্যভিত্তিক অভিন্ন পোর্টাল হলে সেটা হবে এবারই প্রথম। এর পাশাপাশি আরও খবর, কলেজভিত্তিক মেধাতালিকা প্রকাশ করা হবে। সেটাও হবে রাজ্যস্তর থেকে। অর্থাৎ, ছাত্র সংসদ, কলেজ প্রশাসন বা কলেজ কর্তৃপক্ষের ভর্তি সংক্রান্ত বিষয়ে কোনও প্রত্যক্ষ যোগাযোগ থাকছে না। একটা অভিন্ন পোর্টালের মাধ্যমে সরাসরি ভর্তি হতে পারবেন পড়ুয়ারা।
এই খবর এই সরকারের প্রথম নয়। ২০২২ সালেও ভেবেছিল, কিন্তু ‘তীরে এসে তরী’ ডোবার মতো শেষ পর্যন্ত তা বাস্তবায়িত করতে পারেনি। ২০২৩ সালে তা সিদ্ধান্ত হয়েও শেষ পর্যন্ত পিছিয়ে আসতে হয়েছিল।
এবার অবশ্য রাজ্য সরকার শেষমেশ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে সূত্র মারফত জানা গেছে। আগামী মঙ্গলবার এ ব্যাপারে সরকারিভাবে সিদ্ধান্ত হবে। এক্ষেত্রে ছাত্র ভর্তির ক্ষেত্রে বারবার যে অনিয়মের অভিযোগ উঠছিল তা এড়ানো যাবে বলে মনে করেন শিক্ষাবিদরা।
ভোট-পর্বের মধ্যেই এবার ৬৯ দিনের মাথায় প্রকাশিত হয় উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার (WBCHSE Uchcha Madhyamik Result 2024) ফল। এবার পরীক্ষায় বসেছিলেন ৭ লক্ষ ৫৫ হাজার ৩২৪ জন আর পাস করেছেন ৬ লক্ষ ৭৯ হাজার ৭৮৪ জন।