১৪ জুন ২০২৪, ০৯:৪০

বিশ্বে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা প্রায় ১২ কোটি

বিশ্বে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা প্রায় ১২ কোটি  © সংগৃহীত

যুদ্ধ, সহিংসতা ও নিপীড়নের কারণে বিশ্বের ১২ কোটি মানুষ জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) এ তথ্য জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা- ইউএনএইচসিআর। ক্রমবর্ধমান এ সংখ্যাকে ‘ভয়ানক’ হিসেবে বর্ণনা করেছে বিশ্ব সংস্থাটি। খবর রয়টার্সের।

জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর বলেছে, বিশ্বব্যাপী জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতির ঘটনা আবার রেকর্ড ভেঙেছে। ফিলিস্তিনের গাজা, সুদান ও মিয়ানমারের মতো জায়গার সংঘাত আরও বেশি মানুষকে নিজেদের বাড়িঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য করেছে।

ইউএনএইচসিআর এক বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে, বিশ্বব্যাপী বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা এখন জাপানের জনসংখ্যার সমান। সংস্থার প্রধান ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি সাংবাদিকদের বলেন, এখনো ব্যাপক বাস্তুচ্যুতির একটি বড় কারণ সংঘাত।

ইউএনএইচসিআর বলছে, বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা এক বছর আগের ১১ কোটির চেয়ে বেশি। আর টানা ১২ বছর ধরে সংখ্যাটি বাড়ছে। নতুন ও পরিবর্তনশীল সংকটের সংমিশ্রণসহ দীর্ঘস্থায়ী সমস্যাগুলোর সমাধানে ব্যর্থতার প্রেক্ষাপটে ২০১২ সালের তুলনায় বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা তিনগুণ বেড়েছে।

গ্র্যান্ডি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, আট বছর আগে তিনি যখন জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থার প্রধানের দায়িত্ব নিয়েছিলেন, তখনই উচ্চ বাস্তুচ্যুতির পরিসংখ্যান দেখে মর্মাহত হয়েছিলেন। তার পর সংখ্যাটি দ্বিগুণের বেশি হয়েছে।

সংকট আরও তীব্র হওয়ার প্রতি ইঙ্গিত করেন গ্র্যান্ডি। জলবায়ু পরিবর্তন কীভাবে মানুষের স্থানান্তরকে প্রভাবিত এবং সংঘাতের দিকে ধাবিত করছে, তাও তুলে ধরেন তিনি।

ইউএনএইচসিআর গত বছর বিশ্বের ২৯ দেশে মোট ৪৩ বার জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে। গ্র্যান্ডি সাংবাদিকদের বলেন, মাত্র কয়েক বছর আগের তুলনায় এই সংখ্যা চার গুণেরও বেশি।

বিশেষ করে আন্তর্জাতিক আইন সম্পূর্ণ উপেক্ষা করে যেভাবে সংঘাত হচ্ছে, সে কথা উল্লেখ করে গ্র্যান্ডি বলেন, এটি প্রায়ই মানুষকে আতঙ্কিত করার উদ্দেশ্য নিয়ে পরিচালিত হচ্ছে।

বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধির একটি বড় কারণ সুদানের গৃহযুদ্ধ। ২০২৩ সালের এপ্রিলে সুদানে দুই জেনারেলের ক্ষমতার লড়াইয়ে যুদ্ধ শুরু হয়। পরে তা গৃহযুদ্ধে রূপ নেয়।

ইউএনএইচসিআর বলছে, এই গৃহযুদ্ধে ৯০ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। ২০২৩ সালের শেষ নাগাদ দেশটির প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ মানুষ উৎপাটিত হয়েছে। এই সংখ্যা এখনো বাড়ছে। এ ছাড়া ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ এবং গাজায় হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধের কারণে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা বাড়ছে।