১৩ জুন ২০২৪, ১৩:৫৩

পাকিস্তানে হু হু করে বাড়ছে গাধার সংখ্যা

পাকিস্তানে হু হু করে বাড়ছে গাধার সংখ্যা  © সংগৃহীত

বিগত কয়েক বছর ধরেই পাকিস্তান গাধা পালনের ব্যাপারে তৎপর। পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৯-২০২০ সালে পাকিস্তানে গাধার সংখ্যা ছিল ৫৫ লাখ। তার পর থেকে প্রতি বছরই লাখখানেক করে গাধা বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত চার বছরে চার লাখ গাধার সংখ্যা বেড়েছে এশিয়ায় এ দেশটিতে।

বিগত কয়েক বছর ধরে আর্থিক সঙ্কটে ভুগছে পাকিস্তান। নতুন সরকার গঠনের পরেও ছবিটা তেমন বদলায়নি। মানুষ খেতে পাচ্ছেন না। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম আকাশছোঁয়া। শাহবাজ শরিফের মাথার উপর ঝুলছে বিপুল পরিমাণ ঋণের বোঝা।

এমন অবস্থায় ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে একাধিক পদক্ষেপ করেছে শাহবাজ সরকার। তবুও অবস্থার তেমন পরিবর্তন ঘটেনি। কৃষি ক্ষেত্র ছাড়া বাকি ক্ষেত্রে তেমন উন্নতি করতে পারেনি দেশটি। গত মঙ্গলবার পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী মহম্মদ অওরঙ্গজেব ২০২৩-২৪ সালের অর্থনৈতিক সমীক্ষা প্রকাশ করেছেন।

সমীক্ষা অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের জন্য পাক সরকার দেশের আর্থিক বৃদ্ধি নিয়ে যে লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছিল, তা ছুঁতে ব্যর্থ হয়েছে। পাক সরকার চেয়েছিল গত অর্থবছরে তাদের জিডিপি বৃদ্ধি হোক ৩.৫ শতাংশ। কিন্তু দেখা যাচ্ছে সেই লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছতে পারেনি পাকিস্তান। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে পাকিস্তানের জিডিপি বৃদ্ধির হার ২.৩৮ শতাংশ।

আর্থিক সঙ্কট থেকে মুক্তি পেতে গাধার পালন বৃদ্ধি করছে পাকিস্তান। সেই সব গাধা বিদেশে, মূলত চীনে রফতানি করে আর্থিক লাভের আশা করছে শাহবাজ সরকার। চীনের সঙ্গে পাকিস্তানের সখ্য বহু পুরনো। সেই বন্ধুত্বকে কাজে লাগিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টায় পাকিস্তান।

কিন্তু কেন চীনে গাধা রফতানি করতে চায় পাকিস্তান? প্রধানত মালবাহক হিসাবে এই প্রাণীর ব্যবহার রয়েছে গোটা বিশ্বে। কিন্তু এই গাধাই বিশ্ব বাণিজ্য বাজারে অন্যতম চর্চিত বিষয়। গাধা নিয়ে চীন এবং আফ্রিকার দেশগুলোর মধ্যে দড়ি টানাটানি চলছে। এমন অবস্থায় নিজের ‘বন্ধু’কে গাধা পাঠিয়ে সাহায্য করতে চায় পাকিস্তান।

চীনের কাছে গাধা কেন এত অপরিহার্য?
চীনা বাজারে ইজিয়াও নামে এক ওষুধের চাহিদা তুঙ্গে। সেই ওষুধ তৈরি করতে মূলত প্রয়োজন গাধার চামড়ার। সেই চামড়া সংগ্রহ করতে বিগত কয়েক বছরে বেড়েছে গাধা হত্যার ঘটনা। শুধু তা-ই নয়, চোরাচালানকারীদের নজরেও রয়েছে গাধা।

চীন গাধার চামড়া জোগানের জন্য নির্ভর করতে শুরু করে আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের উপর। কিন্তু এই গাধা নিয়ে আফ্রিকার দেশগুলির সঙ্গে চীনের বিরোধ চরমে ওঠে। চীনকে গাধা সরবরাহ করতে ‘অসম্মত’ হয় আফ্রিকার দেশগুলোও। তার পরই গাধার খোঁজে অন্যান্য দেশের দিকে ‘হাত’ বাড়িয়ে দেয় চীন। এমন অবস্থায় চীনকে সাহায্য করতে এগিয়ে এল পাকিস্তান। [সূত্র: আনন্দাবাজার পত্রিকা]