নরেন্দ্র মোদীর শপথ অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
ভারতের লোকসভা নির্বাচনে ক্ষমতাসীন হল বিজেপি এবার সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। শরিকদের সমর্থনে তাদের এনডিএ সরকার গড়বে। নরেন্দ্র মোদীকেই প্রধানমন্ত্রী করে এগিয়ে যেতে চায় এনডিএ জোট। সেক্ষেত্রে তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদী। তার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে আসতে চলেছেন বিদেশের রাষ্ট্রনেতা–নেত্রীরা। আগামী ৮ জুন শনিবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদী তৃতীয়বার শপথ নেবেন বলে খবর।
হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, এ শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে থাকবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং শ্রীলংকার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমসিংঘে। দু’জনের সঙ্গেই বুধবার টেলিফোনে কথা হয়েছে নরেন্দ্র মোদীর। শনিবারের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে থাকবেন তারা। শ্রীলংকার সরকার জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমসিংঘেকে আমন্ত্রণ করা হয়েছিল। সে আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন তিনি।
শেখ হাসিনার সঙ্গেও কথা হয়েছে নরেন্দ্র মোদীর। তিনি এনডিএ’র এ জয়ের জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি সেখানে উপস্থিত থাকবেন বলেও জানিয়েছেন। এতে নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে যে শপথ নেবেন সে অনুষ্ঠান জাঁকজমকপূর্ণ হতে চলেছে।
ভুটান, নেপাল ও মলদ্বীপের প্রধানমন্ত্রীদেরও আমন্ত্রণ জানানো হতে পারে। পাকিস্তানকে কি আমন্ত্রণ জানানো হবে? সে প্রশ্নও উঠছে। পাকিস্তান সরকারের পক্ষ থেকে বারবার ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক পুর্নস্থাপনের বার্তা দিচ্ছে। তাই পাকিস্তানের কোনও শীর্ষস্থানীয় নেতৃত্ব কেউ শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেলে অবাক হওয়ার কিছু নেই।
২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদী প্রথম শপথ অনুষ্ঠানে নওয়াজ শরিফকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। আমন্ত্রণ রক্ষা করেন তৎকালীন পাক প্রধানমন্ত্রী। পরের মাসে শেখ হাসিনার ভারতে আসার কথা রয়েছে। সেখানে এ মাসে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে থাকা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
আরো পড়ুন: বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু হচ্ছে পিএইচডি ডিগ্রি
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আরও প্রতিবেশী দেশের রাষ্ট্রনেতাদের আমন্ত্রণ জানানোর প্রক্রিয়া চলছে। এখানে একটা বিষয় মনে রাখা দরকার, প্রধানমন্ত্রী যে দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন সে দুই দেশ— বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কায় চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব বেড়েছে। বিষয়টি ভারতকে চিন্তায় রেখেছে। তাই কি এ দু’দেশকে বাড়তি খাতির? উঠছে প্রশ্ন।
চিঠিতে শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে লিখেছেন, ‘ভারতের লোকসভার ১৮তম নির্বাচনে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ’র জয়ের জন্য বাংলাদেশের জনগণ এবং আমার পক্ষ থেকে আপনাকে অনেক অভিনন্দন। বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের নেতা হিসাবে আপনি ভারতের জনগণের আশা পূরণের ভার পেয়েছেন। ভারতের জনগণের রায়ে আপনার তৃতীয়বারের বিজয়ের পর দু’দেশের সম্পর্ক আরও বন্ধুত্বপূর্ণ ও ঘনিষ্ঠ হবে।’