০১ জুন ২০২৪, ১৯:৩৯

প্রকাশ হলো বুথফেরত সমীক্ষা, ভারতে ক্ষমতায় আসছে যারা 

  © সংগৃহীত

৫৪২টি আসন (সুরাটে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছে বিজেপি), সাতটি দফা- প্রায় দেড় মাস পরে শনিবার লোকসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ-পর্ব শেষ হয়। আজ বুথফেরত সমীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করা হচ্ছে। আগামী মঙ্গলবার (৪ জুন) লোকসভা নির্বাচনের ভোটগণনার আগে বুথফেরত সমীক্ষার মাধ্যমে একটা প্রাথমিক আভাস পাওয়া যায়। 

রিপাবলিক ভারত এবং ম্যাট্রিজের সমীক্ষা অনুযায়ী, ৩৫৩-৩৬৮টি আসনে জিততে পারে বিজেপির নেতৃত্বাধীন বিজেপির জোট। ১১৮-১৩৩টি আসনে জিততে পারে ইন্ডিয়া জোট। ৪৩-৪৮টি আসনে জিততে পারে অন্যান্যরা।

রিপাবলিক টিভি এবং পি মার্কের বুথফেরত সমীক্ষা অনুযায়ী, ৩৫৯টি আসনে জিততে পারে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ। ১৫৪টি আসনে জিততে পারে ইন্ডিয়া জোট। অন্যান্যরা জিততে পারে ৩০টি আসনে। ওই বুথফেরত সমীক্ষা মিলে গেলে গতবারের থেকেও বেশি আসন নিয়ে ক্ষমতায় আসবে এনডিএ।

ইন্ডিয়া নিউজ-ডি-ডায়নামিক্সের এক্সিট পোল অনুযায়ী, বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় ফিরতে চলেছে বিজেপি। ওই সমীক্ষা অনুযায়ী, ৩৭১টি আসনে জিততে পারে এনডিএ জোট। ইন্ডিয়া জোট জিততে পারে ১২৫টি আসনে। অন্যান্যরা জিততে পারে ৪৭টি আসনে।

ভোটের সম্ভাব্য ফলাফল নিয়ে বড় দাবি করলেন প্রশান্ত কিশোর। এমনকী বাংলার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে নিয়েও তিনি একটি বড় দাবি করেছেন।

দ্য প্রিন্টকে দেওয়া এক একান্ত সাক্ষাৎকারে ফের একবার প্রশান্ত কিশোর লোকসভা ভোটের সম্ভাব্য ফল নিয়ে মুখ খুললেন। পাশাপাশি তিনি এও বোঝালেন, কেন অনেক বিরোধী নেতা তাঁর ভবিষ্যদ্বাণীর যুক্তি খুঁজে পাচ্ছেন না। এরই সঙ্গে বাংলার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে নিয়েও তিনি একটি বড় দাবি করেছেন।

প্রশান্ত কিশোর দ্য প্রিন্টকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, 'আমার মূল্যায়ন অনুযায়ী, বিজেপি আগেরবারের মতো একই বা তার থেকে সামান্য কিছু বেশি আসন পেতে পারে এবারে।' এদিকে কম ভোটের হার এবং প্রতিষ্ঠা বিরোধী হাওয়া প্রসঙ্গে পিকে বলেন, 'প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার হাওয়া ২০১৯ সালেও ছিল। তবে বিজেপি ৩৮ শতাংশ ভোট পেয়েও বিপুল জয় পায়। অর্থাৎ, প্রতি ১০ জনে ৬ জন বিজেপির বিরুদ্ধে। সেই সংখ্যাটা যদি ৭ বা ৮ হয়, তখন বিজেপি হারতে পারে।'

এদিকে প্রশান্ত কিশোর অঙ্ক কষে দাবি করেন, বিজেপিকে হারতে হলে উত্তর ও পশ্চিম ভারত থেকে তাদের জেতা আসনের প্রায় ৫০ থেকে ১০০টি আসন হারাতে হবে। এর জন্য কংগ্রেসের পাশাপাশি সমাজবাদী পার্টি, আরজেডি এবং এনসিপির স্ট্রাইকরেট বেশি হতে হবে। এই চার বিরোধী দল মিলে যদি একসঙ্গে ভালো ফল করে, তাহলেই বিজেপি উত্তর ও পশ্চিম ভারতে জমি হারাতে পারে।

এদিকে পিকেরমতে, মোদীর বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠান বিরোধী হাওয়া ভোটবাক্সে তেমন প্রভাব না ফেললেও ওড়িশা, বাংলা, অন্ধ্রের মতো রাজ্যে ক্ষমতায় থাকা দলের বিরুদ্ধে বয়ে চলা প্রতিষ্ঠান বিরোধী হাওয়ার ফায়দা পাবে বিজেপি। এই আবহে তিনি ফের একবার ইঙ্গিত করলেন বাংলা এবং ওড়িশার মতো রাজ্যে বিজেপি আগেরবারের তুলনাতেও ভালো ফল করবে।

এদিকে প্রশান্ত কিশোর দাবি করেন, এবারে বিজেপি নিজেদের উত্তর আর পশ্চিম ভারতের গড় ধরে রাখার পাশাপাশি পূর্ব এবং দক্ষিণ ভারতে জমি দখল করবে। পূর্ব ভারতে আগের বারের তুলনায় বিজেপি এবারে বেশি আসন পাবে বলে ভবিষ্যদ্বাণী করেন পিকে। আর দক্ষিণ ভারতে আগেরবারের তুলনায় বিজেপির অন্তত ভোটের হার বাড়বে বলে দাবি করেন পিকে।