৩১ মে ২০২৪, ১১:২১

‘অল আইজ অন রাফা’ কী বার্তা দিচ্ছে?

  © সংগৃহীত

বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে ঝড় তুলেছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে তৈরি ‘অল আইজ অন রাফা’ স্লোগান সংবলিত একটি ছবি। মূলত গাজার ফিলিস্তিনীয় জনগণের ভয়াবহ পরিস্থিতিকে স্পটলাইট করার জন্য গাজার ফিলিস্তিনীয় জনগণের ভয়াবহ পরিস্থিতিকে স্পটলাইট করার জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারী এবং বিভিন্ন গোষ্ঠীগুলো এই শক্তিশালী চিত্র এবং স্লোগান ব্যবহার করছে। 

এনবিসি নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার (২৯ মে) পর্যন্ত ছবিটি শেয়ার হয়েছে প্রায় ৪ কোটি ৫০ লাখ বার। যারা ছবিটি শেয়ার করছেন, তাদের মধ্যে অনেক তারকাও আছেন। ছবিটি ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে ইনস্টাগ্রামে শেয়ার হয়েছে চার কোটি বার। আর সময় যতই গড়াচ্ছে ততই যেন আরও বেশি পরিমাণে ছড়িয়ে পড়ছে পোস্টটি। 

ছবিটির বিষয়ে ‘মিসইনফরমেশন’ নিয়ে পড়াশোনা করা কাতারের হামাদ বিন খলিফা ইউনিভার্সিটির মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক সহযোগী অধ্যাপক মার্ক ওয়েন জোন্স বলেছেন, দেখে মনে হচ্ছে ছবিটি এআই দিয়ে তৈরি করা। 

এদিকে ‘সবার চোখ রাফার দিকে’ ছবিটি ব্যাপকভাবে শেয়ারের প্রবণতাকে ইন্টারনেট অ্যাকটিভিজম হিসেবে দেখছেন যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যানেনবার্গ স্কুল ফর কমিউনিকেশনের সহযোগী অধ্যাপক সারাহ জ্যাকসন। তিনি বলছেন, এখন মাঠপর্যায়ে বা ঘটনাস্থলে যা ঘটছে, তা শেয়ার করার জন্য অনেক ফিলিস্তিনি সাংবাদিক ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার করছেন। এই সাংবাদিকদের অনেককেই সরাসরি নিশানা করা হয়েছে, সেন্সর করা হয়েছে। কিন্তু ইনস্টাগ্রাম এমন একটি প্ল্যাটফর্ম, যা তাদের কাছে জনপ্রিয়তা পেয়েছে।

ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে ছবিটি প্রথম দেন ‘shahv 4012’ নামের এক ব্যবহারকারী। তিনি ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে লিখেছেন, যা-ই করুন না কেন, রাফা ইস্যুকে অবহেলা করবেন না। এটি (ছবি) ছড়িয়ে দিন, যাতে তারা সবার মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার ভয়ে কাঁপতে থাকে।

ছবিটিতে ব্যবহার করা স্লোগানটি সম্ভবত গাজায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রতিনিধি রিচার্ড পিপারকর্নের একটি বক্তব্য থেকে নেওয়া হয়েছে। তিনি একবার বলেছিলেন, রাফায় যা ঘটছে, সব চোখ সেদিকে।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামলা চালায় হামাস। এতে এক হাজার ১৭০ জন নিহত হন। জবাবে নির্বিচার হামলা শুরু করে ইসরায়েল। সাত মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা এ হামলায় গাজায় এ পর্যন্ত ৩৬ হাজার ৯৬ জন নিহত হয়েছেন।