ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি কে?
ইব্রাহিম রাইসি বর্তমানে ইরানের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ৬৩ বছর বয়সি এই নেতাকে মনে করা হয় দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনির উত্তরসূরি হিসেবে। রবিবার আজারবাইজান সীমান্তবর্তী এলাকায় জলাধার প্রকল্প উদ্বোধন শেষে ফেরার পথে রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়েছে।
ওই হেলিকপ্টারে তার সঙ্গে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদুল্লাহিয়ানসহ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাও ছিলেন। তাঁদের পরিণতি কী হয়েছে, সে বিষয়ে এখনো নিশ্চিত যায়নি। দুর্ঘটনা কবলিত হেলিকপ্টারের সন্ধানে তৎপরতা চালাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা।
এই দুর্ঘটনায় প্রেসিডেন্ট রাইসির মৃত্যু হলে তা হবে ইরানের জন্য বিরাট এক ধাক্কা। দীর্ঘ দিন ধরে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বৈরী সম্পর্ক চলে আসছে ইরানের। ক্ষমতায় আসার পর ইব্রাহিম রাইসি যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা মোকাবিলায় করে আসছে। প্রতিবেশীদের পাশাপাশি চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে বিশেষভাবে মনোযোগ দিয়েছিলেন তিনি।
কট্টরপন্থী এবং ধর্মীয়ভাবে রক্ষণশীল রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত রাইসি প্রথম ২০১৭ সালে রাষ্ট্রপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। কিন্তু সেবার তিনি ব্যর্থ হন। শেষে ২০২১ সালে দ্বিতীয় দফায় নির্বাচন করে ইরানের অষ্টম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন ইব্রাহিম রাইসি।
ইব্রাহিম রাইসির জন্ম ১৯৬০ সালে উত্তর-পূর্ব ইরানের পবিত্র শহর মাশহাদে। মাত্র ২০ বছর বয়সে তিনি তেহরানের পার্শ্ববর্তী শহর কারাজের প্রসিকিউটর-জেনারেল নিযুক্ত হন।
১৯৮৯ থাকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত রাইসি তেহরানের প্রসিকিউটর-জেনারেলের দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৪ সাল থেকে তিনি এক দশক জুডিশিয়াল অথরিটির উপপ্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৯ সালে তাকে বিচার বিভাগের প্রধান নিযুক্ত করেন দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি।