১৮ মে ২০২৪, ০৮:৩১

হামাসের সুড়ঙ্গ থেকে ৩ জিম্মির মরদেহ উদ্ধার

হামাসের সুড়ঙ্গ থেকে ৩ জিম্মির মরদেহ উদ্ধার  © সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলের জাবালিয়া থেকে তিন জিম্মির মরদেহ উদ্ধার করেছে ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। নিহত ওই তিনজনের নাম শনি লুক, অমিত বুসকিলা এবং ইতজাক গেলেরেন্টার। তারা ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের হাতে জিম্মি ছিলেন বলে জানিয়েছে ইসরায়েল। এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে সংবাদ মাধ্যম বিবিসি।

এক বিবৃতিতে আইডিএফ জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর নোভা মিউজিক ফ্যাস্টিভালে হত্যা করা হয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে। পরে তাদের মরদেহ গাজায় নিয়ে যাওয়া হয়।

গত বছরের নভেম্বরে হামাস একটি চুক্তির অধীনে এক সপ্তাহব্যাপী যুদ্ধবিরতির বিনিময়ে ১০৫ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছিল। এর বিনিময়ে ইসরায়েল কারাগারে থাকা ২৪০ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেয়। এখন হামাসের কাছে কতজন জিম্মি আছে এবং তাদের মধ্যে কতজন বেঁচে আছেন তা স্পষ্ট নয়।

দীর্ঘ দখলদারত্ব আর পশ্চিম তীরে নিরীহ ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদের প্রতিবাদে গেল বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে নজিরবিহীন সামরিক অভিযান চালায় হামাস যোদ্ধারা। এরপরই গাজায় নির্বিচার বিমান হামলা ও স্থল হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এতে নিহত হয়েছে ৪০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি, আহত হয়েছেন ৭০ হাজারের বেশি মানুষ।

এদিকে জিম্মিদের মরদেহ উদ্ধারের পর প্রতিক্রিয়ায় ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, প্রতিরক্ষা বাহিনীর তিনজন জিম্মির মরদেহ উদ্ধারের খবরে আমি মর্মাহত। আমার স্ত্রী সারা এবং আমি তাদের পবিরারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। আমরা আমাদের সব জিম্মিকে ফেরাব-জীবিত অথবা মৃত। আমি আমাদের সাহসী সেনাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। যারা আমাদের ছেলে ও মেয়েদের বাড়িতে ফিরিয়ে এনেছে।

ইসরাইলি হামলায় গাজা উপত্যকায় গেল ৭ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত ৩৫ হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। তাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।