নাইজেরিয়ায় নামাজের সময় মসজিদে তালা দিয়ে দেওয়া হলো আগুন, নিহত ১১
পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজেরিয়ায় মসজিদে আগুনে পুড়ে ১১ মুসল্লি নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও বহু মানুষ। দেশটির কানো প্রদেশের একটি মসজিদে বাইরে থেকে তালা আটকে দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার পর হতাহতের এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার সময় মুসল্লিরা ফজরের নামাজ আদায়ের জন্য মসজিদে জড়ো হয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজেরিয়ায় একটি মসজিদে বাইরে থেকে তালা মেরে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে এক ব্যক্তি। এতে অন্তত ১১ জন মুসল্লি নিহত এবং ৩০ জনের মতো আহত হয়েছে। বুধবার (১৫ মে) ঘটনার সময় মুসল্লিরা ফজরের নামাজ আদায়ের জন্য মসজিদে জড়ো হয়েছিলেন।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
পুলিশ জানিয়েছে, কানো রাজ্যের গেজাওয়া এলাকায় ওই মসজিদে অন্তত ৪০ জন ফজরের নামাজ পড়ছিলেন। এ সময় ৩৮ বছর বয়সী এক ব্যক্তি ওই মসজিদের দরজায় বাইরে থেকে তালা দিয়ে পেট্রোল ছিটিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। কেউ কিছু বোঝার আগেই এই ঘটনা ঘটান ওই ব্যক্তি।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, উত্তরাধিকার ভাগাভাগি নিয়ে পারিবারিক বিরোধের জের ধরে এ নৃশংসতা ঘটানো হয়েছে। ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তি স্বীকার করেছে, মসজিদে তখন তার পরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্য নামাজ আদায় করছিলেন।
স্থানীয়রা জানান, মসজিদে আগুনের শিখা ছড়িয়ে পড়লে ভেতরে থাকা মুসল্লিরা টের পান। তবে দরজা বাইরে থেকে তালাবদ্ধ থাকায় তারা দরজা খুলতে পারেননি। পরে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে আগুন নেভায়। তবে ততক্ষণে ভেতরে থাকা শিশুসহ ১১ জন মারা যায়।
কানো ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, আগুন শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের খবর দেওয়া হয়নি। স্থানীয়রা আগুন নেভানোর পর তারা ঘটনা জানতে পারেন। আগে খবর পেলে হয়তো দ্রুত আগুন নেভানো যেত।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার পর স্থানীয় পুলিশ প্রধান উমর সান্দা বলেন, যা ঘটেছে তা মর্মান্তিক। উত্তরাধিকার নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে। এর সঙ্গে কোনো সন্ত্রাসবাদের যোগসূত্র নেই।