২০০ নম্বরের মধ্যে ২১২ পেল স্কুলছাত্র, আরেক বিষয়ে ২১১
অবিশ্বাস্য এক ঘটনা ঘটে গেল ভারতের গুজরাটের একটি স্কুলে। চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্র মোট নম্বরের থেকে বেশি নম্বর পেয়েছে। রাজ্যের খড়াসোনা গ্রামের স্কুলটির নাম ঝালোড় তালুকা। এ শিক্ষার্থী দুটি বিষয়ে মোট নম্বরের থেকে বেশি নম্বর পেয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছাত্রের রেজাল্ট ছড়িয়ে পড়তেই আলোচনার ঝড় উঠেছে। স্কুলের শিক্ষার মান নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে জানা গেছে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের রাজ্য হিসেবে পরিচিত গুজরাটের ঝালোড় তালুকা স্কুলের এমন ঘটনায় শোরগোল পড়বে, সেটাই স্বাভাবিক। চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রের নাম ভানশিবেন মণীশভাই। সে গুজরাটি বিষয়ে ২০০ নম্বরের মধ্যে ২১১ পেয়েছে। আর অংকে ২০০ এর মধ্যে পেয়েছে ২১২।
ঝালোড় তালুকা স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ভানশিবেন মোট নম্বরকে ছাড়িয়ে বাড়তি নম্বর কেমন করে পেল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এ নম্বর প্রকাশ্যে আসায় বিড়ম্বনায় পড়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।
ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদন অনুযায়ী, যান্ত্রিক ত্রুটির জেরে রেজাল্টে ভুল হয়েছে। পরে ছাত্রকে ডেকে রেজাল্ট নিয়ে তা পাল্টে দেওয়া হয়েছে। পরিবর্তিত রেজাল্টে দেখা গেছে, সংশোধন করার পর গুজরাটি বিষয়ে মণীশভাই পেয়েছে ২০০ এর মধ্যে ১৯১ নম্বর। আর অংকে পেয়েছে ১৯০। এ দুটি বিষয় সংশোধন করা হয়েছে। বাকি বিষয়গুলোয় তা করা হয়নি। আর মণীশভাই সব বিষয়েই ‘এ’ গ্রেড পেয়েছে।
আরো পড়ুন: প্রতিবেশী ৮ দেশে চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫-৪৫, বাংলাদেশ-পাকিস্তানে ৩০
চতুর্থ শ্রেণির এ ছাত্র রেজাল্ট এনে মায়ের হাতে দিয়েছিল। সেখানে কোনও গোলমাল আছে বুঝতে পেরে তার বাবার হাতে রেজাল্ট তুলে দেওয়া হয়। তা দেখে চক্ষু চড়কগাছ মণীশের বাবারও। এই দুটি বিষয়ে বাড়তি নম্বর ছেলে পেয়েছে দেখে স্কুলকে বিষয়টি জানানো হয়। তারপর সোশ্যাল মিডিয়ায় তা পোস্ট করা হয়।
রেজাল্ট দেখে নেটিজেনরা হইচই শুরু করলে টনক নড়ে কর্তৃপক্ষের। তারপর পরিবর্তন করে সংশোধিত রেজাল্ট হাতে তুলে দেওয়া হয়। তবে এ ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলে খবরে জানানো হয়েছে।