ইংরেজিতে দুর্বলতায় পরীক্ষা ভালো হয়নি মেডিকেল ছাত্রীর, নিলেন কঠিন সিদ্ধান্ত
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৩১ AM , আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৩১ AM
ইংরেজিতে দুর্বল হওয়ায় পরীক্ষা ভালো দিতে পারেননি। সেই হতাশায় হোস্টেলের ঘরে আত্মঘাতী হলেন মেডিকেল ছাত্রী। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের মধ্যপ্রদেশের ভোপালের একটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের হোস্টেলে। তবে কোনও সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি। ছাত্রীর নাম রানি মোরে।
জানা গেছে, ছাত্রীর বাবা পেশায় একজন স্কুল শিক্ষক। তিনি ঘটনায় কারও ওপর অভিযোগ তোলেননি। তিনি জানিয়েছেন, ইংরেজিতে ডাক্তারি পড়াশোনা তাঁর মেয়ের পক্ষে কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছিল। পরীক্ষাও ভালো হয়নি। সে কারণে মেয়ে এমন পদক্ষেপ নিয়েছে।
হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হেয়েছে, মধ্যপ্রদেশ হলো প্রথম রাজ্য যেখানে হিন্দিতে পাঠক্রম চালু হয়েছে ২০২২ সালের অক্টোবরে। তবে ওই ছাত্রী ভর্তি হয়েছিলেন ২০২৩ সালে। তা সত্ত্বেও কেন তিনি ইংরেজি পাঠক্রম বেছে নিলেন, তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।
খবরে বলা জয়েছে, হোস্টেলে তাঁর রুমমেট বাড়ি চলে যাওয়ায় কয়েকদিন ধরে তিনি ঘরে একা ছিলেন। সোমবার সকাল ১০টার পরেও রানি ঘর থেকে বের না হওয়ায় ওয়ার্ডেন দরজায় ধাক্কাধাক্কি শুরু করেন। কোনও সাড়াশব্দ না পেয়ে তিনি কলেজ কর্তৃপক্ষকে জানান। পরে কাঠমিস্ত্রির সাহায্যে দরজা খুলে ভেতরে প্রবেশ করতেই তাঁকে মৃত অবস্থায় পান।
পুলিশ জানিয়েছে, একটি ফরেনসিক দল ঘরটি পরিদর্শন করে তথ্য সংগ্রহের পাশাপাশি মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। তাঁর পরিবারকেও খবর দেওয়া হয়। রানির বাবা দেবী সিং মোরে বলেন, তার মেয়ে ভালো ছাত্রী ছিলেন। তবে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত হিন্দি মাধ্যমে পড়াশোনা করছেন। ফলে ইংরেজিতে পড়া তাঁর কাছে কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
আরো পড়ুন: নিখোঁজের ২৬ দিন পর নদীতে মিলল ছাত্রলীগ নেতার মরদেহ
তিনি আরো বলেন, কোনও শিক্ষার্থী পরীক্ষায় কম নম্বর পেলে প্রতিষ্ঠান থেকে অভিভাবকদের ডাকা হয়। তাঁদেরকেও ডাকা হয়েছিল। তখন তারা রানিকে আশ্বস্ত করেছিলেন, তিনি পরবর্তীতে ভালো ফল করবেন। কারণ কঠিন প্রতিযোগিতার পর এমবিবিএসে পড়ার সুযোগ পেয়েছিলেন মেয়ে। সব ঠিক হয়ে যাবে বলে তিনি মেয়েকে আশ্বস্ত করেছিলেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার পর ছাত্রীর বাবা হোস্টেলের ঘর থেকে মেয়ের জিনিসপত্র সংগ্রহ করে নিয়ে গেছেন। রাতে বাড়িতে পৌঁছানোর পর তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।