ইরানে হামলার জন্য চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিয়েছে ইসরায়েল
শনিবার গভীর রাতে তিন শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে ইসরায়েলে হামলা করে ইরান। এর জবাবে এই পাল্টা হামলার পরিকল্পনা করেছে দেশটি। রোববার (১৪ এপ্রিল) ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) পক্ষ থেকে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। খবর ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফের।
গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে অবস্থিত ইরানি কনস্যুলেটে ইসরায়েলের ভয়াবহ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইরানের বিপ্লবী গার্ডের দুই কমান্ডার ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাসহ ১৩ জন নিহত হয়। এর প্রতিবাদে রোববার (১৪ এপ্রিল) গভীর রাতে প্রায় তিন শতাধিক ড্রোন ও মিসাইল দিয়ে ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা শুরু করে ইরান।
ইসরায়েল তার অত্যাধুনিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দিয়ে বেশিরভাগ ড্রোন ও ক্ষেপনাস্ত্র রুখে দিলেও বেশ কয়েকটি মিসাইল আঘাত হানে ইসরায়েল ভূখন্ডে। সেই হামলায় ইসরায়েলের একটি গোয়েন্দা কেন্দ্র ও একটি বিমান ঘাঁটি ধ্বংস করার দাবি করেছে ইরান।
ইরানি এই হামলার পাল্টা জবাব দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে পরিকল্পনাও সম্পন্ন করেছে ইসরায়েল। আইডিএফ জানিয়েছে, ‘পশ্চিমা নেতাদের সতর্কতা সত্ত্বেও যুদ্ধ মন্ত্রিসভা (ইরানের বিরুদ্ধে) আক্রমণাত্মক ও প্রতিরক্ষামূলক উভয় পদক্ষেপই অনুমোদন করেছে।’
জাতিসংঘে পাঠানো এক চিঠিতে ইসরায়েল আরও বলেছে, ইরান ইসরায়েলের আক্রমণের মধ্য দিয়ে বিপৎসীমার সব রেখাই অতিক্রম করেছে।
এছাড়া, এক ভিডিও বার্তায় ইসরায়েলি মন্ত্রী বেনি গান্তজ জানিয়েছেন, ইসরায়েল ইরানকে জবাব দেবে তবে অবশ্যই অতি দ্রুত নয়। ইরানের মুখোমুখি হতে আমরা একটি আঞ্চলিক জোট গড়ে তুলব। ইরানকে চূড়ান্ত মূল্য দিতে হবে এবং আমরা সঠিক উপায়ে এটি নিশ্চিত করব।’
এদিকে টাইমস অব ইসরায়েলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল রোববার ইরানি হামলার জবাব দেওয়ার বিষয়টি নির্ধারণ করতে অন্তত ৩ ঘণ্টা ধরে বৈঠক করেছে ইসরায়েলি যুদ্ধ মন্ত্রিসভা।
যদিও ইসরায়েলে হামলার পর ইরানের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক প্রতিশোধ না নিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে পরামর্শ দিয়েছিলেন।