ইরানের হামলা, ইসরায়েলের অনুরোধে জরুরি বৈঠকে বসছে নিরাপত্তা পরিষদ
ইসরায়েলের ভূখন্ড লক্ষ্য করে ইরানের নজিরবিহীন ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পরিপ্রেক্ষিতে আজ রোববার (১৪ এপ্রিল) জরুরি বৈঠক ডেকেছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। ইসরায়েলে অনুরোধে এই বৈঠক ডাক হয়েছে বলে জানিয়েছেন নিরাপত্তা পরিষদের বর্তমান সভাপতি মাল্টার একজন মুখপাত্র। খবর এএফপির।
পরিষদের সভাপতির কাছে পাঠানো এক চিঠিতে জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরায়েলের দূত জিলাড আরডান ইরানের হামলাকে ইসরায়েলের সার্বভৌমত্বের প্রতি নিকৃষ্ট লঙ্ঘন হিসেবে উল্লেখ করেন।
চিঠিতে বলা হয়, ইরান আজ ইসরায়েলের ভূখণ্ডে দুই শতাধিক ড্রোন এবং ব্যালিস্টিক ও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে সরাসরি হামলা চালিয়েছে। এই হামলা সবচেয়ে খারাপ ও বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি করেছে। ইরানের ইসলামিক রেভ্যুলশনারি গার্ডকে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত করতেও নিরাপত্তা পরিষদে অনুরোধ করেছে ইসরায়েল।
এর আগে গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে অবস্থিত ইরানি কনস্যুলেটে ভয়াবহ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে বিপ্লবী গার্ডের দুই কমান্ডারসহ ৭ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা নিহত হন। এছাড়া এই হামলায় মোট ১৩ জন নিহত হন। এরপরই প্রতিশোধ নেয়ার জন্য ইসরায়েলে হামলার ঘোষণা দেয় তেহরান।
আরও পড়ুন: ইরানের হামলার পর ইসরায়েলে সব স্কুল-বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা
এরই ধারাবাহিকতায় রোববার (১৪ এপ্রিল) গভীর রাতে প্রায় দুই শতাধিক ড্রোন ও মিসাইল দিয়ে ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা শুরু করে ইরান। ইসরায়েল তার অত্যাধুনিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দিয়ে বেশিরভাগ ড্রোন ও ক্ষেপনাস্ত্র রুখে দিলেও বেশ কয়েকটি মিসাইল আঘাত হেনেছে ইসরায়েল ভূখন্ডে।
ইসরায়েলি ভূখণ্ড লক্ষ্য করে ইরান হামলায় ইসরায়েলের একটি সামরিক ঘাঁটি ‘কিছুটা’ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া এতে ৭ বছর বয়সী একটি মেয়ে এই হামলায় গুরুতর আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স। এই অবস্থায় সকল স্কুল, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসরায়েল।