বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে এবারও হচ্ছে না বসন্ত উৎসব, পর্যটকে বিধিনিষেধ
বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় এ বছরও বসন্ত উৎসব করছে না। দোলের দিন রবীন্দ্রভবনসহ আশ্রম চত্বর পর্যটকদের জন্য বন্ধ রাখা হবে। প্রাথমিকভাবে বিশ্বভারতী এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে আনন্দবাজারের খবরে জানানো হয়েছে।
খবরে বলা হয়েছে, বিশ্বভারতীতে সর্বশেষ বড় আকারে বসন্ত উৎসব হয়েছিল ২০১৯ সালে। এরপরে দুবছর করোনা মহামারী এবং পরে অন্য কারণ দেখিয়ে বসন্ত উৎসব হয়নি। গত বছর উৎসবের পরিবর্তে বসন্ত বন্দনা হয়েছিল। সে অনুষ্ঠানে পর্যটকসহ বাইরের মানুষেরপ্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল। তবে সড়কে পর্যটকদের ঘোরাঘুরিতে বাধা ছিল না।
সে সময় অনেকে ভেবেছিলেন, বিদ্যুৎ চক্রবর্তী উপাচার্য হিসাবে অবসর নেওয়ার পর শান্তিনিকেতনে যেভাবে পৌষমেলা ফিরেছে, তেমনই বসন্ত উৎসবও ফিরবে। তবে সে সম্ভাবনা কম।
সূত্র জানায়, বসন্ত উৎসব না-করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বুধবার পুলিশের সঙ্গে বৈঠক হয় বিশ্বভারতীর। এতে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য সঞ্জয়কুমার মল্লিক এবং বিশ্বভারতীর বিভিন্ন ভবনের অধ্যক্ষ ও কর্মকর্তারা ছিলেন। পরে বৃহস্পতিবারও বৈঠক হয়েছে।
আরো পড়ুন: মস্কোর কনসার্ট হলে বন্দুকধারীদের হামলায় ৪০ জন নিহত
সম্প্রতি শান্তিনিকেতনকে বিশ্ব ঐতিহ্য বা ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেস্কো। সে স্বীকৃতিকে মাথায় রেখে দোলের দিন আশ্রম চত্বরে প্রবেশে বিধিনিষেধ থাকছে। এদিন লাখেরও বেশি পর্যটক থাকবেন শান্তিনিকেতনে। আশ্রম চত্বরে অবাধ প্রবেশ থাকলে ভিড়ে ঐতিহ্যক্ষেত্র নষ্ট হতে পারে বলে আশঙ্কা কর্তৃপক্ষের। এ জন্য প্রবেশে কড়াকড়ি থাকবে।
একইসঙ্গে পুলিশকে উপাসনাগৃহের সামনে থেকে সঙ্গীতভবন পর্যন্ত সড়কে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে বলা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, পর্যটকদের ভিড় সামলাতে দোলের দিন সড়কটিতে যানবাহন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হবে।