১৯ মার্চ ২০২৪, ১১:১৯

কান্না করার মতো শক্তিও নেই গাজার অনেক শিশুর শরীরে : ইউনিসেফ

অপুষ্টিতে ভোগা শিশু  © সংগৃহীত

উত্তর গাজায় মারাত্মক অপুষ্টিতে ভোগা শিশুর সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে। মাত্র এক মাসের ব্যবধানে এটা হয়েছে। গাজা উপত্যকায় মারাত্মক অপুষ্টিতে ভোগা শিশুর সংখ্যা অনেক। ক্ষুধা ও অপুষ্টিতে কাতর এই শিশুদের অনেকেরই শরীরে কান্না করার মতো শক্তি পর্যন্ত অবশিষ্ট নেই। এমন তথ্য জানিয়েছে জাতিসংঘ শিশু তহবিল ইউনিসেফ।

ফিলিস্তিনের গাজায় গত পাঁচ মাসের বেশি সময় ধরে চলা ইসরাইলের নির্বিচার হামলায় ১৩ হাজারের বেশি শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে সংস্থাটি উল্লেখ করেছে।

গাজা সফরের অভিজ্ঞতা জানিয়ে ক্যাথেরিন রাসেল বলেন, ‘আমি হাসপাতালের একটি শিশু ওয়ার্ডে গিয়েছিলাম। ওই ওয়ার্ডের শিশুরা মারাত্মক রক্তশূন্যতা আর অপুষ্টিতে ভুগছে। কিন্তু পুরো ওয়ার্ড একদম শান্ত ছিল। কারণ, অসুস্থ শিশুদের শরীরে কান্নার মতো শক্তি ছিল না।’

ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথেরিন রাসেল এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘গাজায় আরও হাজারো শিশু আহত হয়েছে। কিন্তু এসব শিশু কোথায় আছে আমরা সেটাও জানি না। ৭ অক্টোবরের পর থেকে গাজায় যে পরিমাণ শিশুর মৃত্যু হয়েছে, বিশ্বে আর কোনো সংঘাতে আমরা এমনটা দেখিনি।’

এদিকে, ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ) জানিয়েছে, গাজার উত্তরাঞ্চলে দুই বছরের কম বয়সী প্রতি তিনজন শিশুর একজন এখন মারাত্মক অপুষ্টিতে ভুগছে।

শুধু আকাশপথে নির্বিচার বোমা হামলা নয়, গাজায় স্থল অভিযানও চালিয়ে আসছে ইসরাইলি বাহিনী। গতকাল দখলদার ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু মিসরের সীমান্তসংলগ্ন ফিলিস্তিনের রাফায় স্থল অভিযানের হুমকি পুনর্ব্যক্ত করেছেন। শহরটিতে ১০ লাখের বেশি বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়েছেন।

১৯১৭ সালে ব্রিটিশ উপনিবেশবাদী শাসকের পরিকল্পনায় বিভিন্ন দেশ থেকে ফিলিস্তিনি ভূমিতে ইহুদিদের অভিবাসনের মাধ্যমে আজকের ইসরাইল নামক অবৈধ রাষ্ট্রটি তৈরি করা হয় এবং ১৯৪৮ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে এর অস্তিত্ব ঘোষণা করা হয়। এরপর থেকে গোটা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড দখল করার জন্য তাদের বিরুদ্ধে বহু গণহত্যা এবং জাতিগত নিধন অভিযান চালিয়েছে ইসরাইল।