ইসরায়েলকে ঠেকাতে হামাস-হুতির বিরল বৈঠক
গাজায় ইসরায়েলের চলমান আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে একসাথে বৈঠক করেছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও ইরান সমর্থিত ইয়েমেনভিত্তিক গোষ্ঠী হুতি বিদ্রোহী। ওই বৈঠকে তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যদি দখলদার ইসরায়েল গাজার রাফাহতে কোনো সামরিক আগ্রাসন চালায় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে যৌথ হামলা চালানো হবে।
গত সপ্তাহে গোষ্ঠী দুটির সিনিয়র নেতারা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে তাদের পদক্ষেপের সমন্বয়ের বিষয়ে আলোচনা করার জন্য বৈঠক করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কিছু সূত্রের বরাতে এ খবর জানায় বার্তাসংস্থা এএফপি।
শনিবার (১৬ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এএফপির বরাতে এ খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরা।
এএফপি জানায়, হামাস ও ইসলামিক জিহাদ এবং পপুলার ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশন অব প্যালেস্টাইনের নেতারা, গত সপ্তাহে হুতিদের প্রতিনিধিদের সাথে একটি “গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক” করেছে।
সূত্র জানায়, গাজায় যুদ্ধের পরবর্তী পর্যায়ের এবং ইসরায়েলের হামলা প্রতিরোধে গোষ্ঠীগুলোর কার্যকলাপ সমন্বয় করার পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে কোথায় এই বৈঠক হয়েছে তা জানাননি তারা।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকটি সূত্র জানায়, রাফায় ইসরায়েলের সম্ভাব্য অভিযান নিয়েও ফিলিস্তিনি সংগঠনগুলোর সঙ্গে হুতিদের আলোচনা হয়। বৈঠকে হুতিদের পক্ষ থেকে লোহিত সাগরে হামলা অব্যাহত রাখার কথা জানানো হয়।
গত বৃহস্পতিবার হুতি নেতা আব্দুল মালিক আল হুতি জানান, প্রয়োজনে ভারত মহাসাগর ও উত্তমাশা অন্তরীপ পর্যন্ত তারা হামলা বিস্তৃত করা হবে।
অন্যদিকে গতকাল শুক্রবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, রাফায় সামরিক অভিযানের জন্য তিনি অনুমোদন দিয়েছেন।