০৫ মার্চ ২০২৪, ১৮:৪৭

যুদ্ধের মধ্যেই রমজান পালন করবে ফিলিস্তিনিরা!

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় বিধ্বস্ত বসতি  © সংগৃহীত

আর কয়েকদিন পরই শুরু হবে পবিত্র রমজান মাস। এর আগে গাজায় যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। তবে এ নিয়ে দুই দিন ধরে বৈঠক হলেও কোনো চুক্তিতে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। গত রোববার মিসরের রাজধানী কায়রোতে গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়।  বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। 

হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতা বাসিম নাইম মঙ্গলবার (৫ মার্চ) জানান, আলোচনা চলার সময় তাঁরা তাদের প্রস্তাব মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোর কাছে উত্থাপন করেছেন এবং ইসরায়েলের উত্তরের জন্য অপেক্ষা করছিলেন।

তিনি বলেন, ‘নেতানিয়াহু কোনো চুক্তিতে পৌঁছাতে চায় না। আর ইসরায়েলকে চুক্তিতে সম্মত হতে চাপ দেওয়ার ক্ষেত্রে বল এখন আমেরিকানদের কোর্টে।’

মিসরে হওয়া এই বৈঠক নিয়ে কোনো আলোচনা করতে রাজি হয়নি ইসরায়েল। 

এর আগে একটি সূত্র রয়টার্সকে জানায়, ইসরায়েল এই আলোচনা থেকে দূরে ছিল।  তারা দাবি করেছিল, যেসব জীবিত এবং মৃত জিম্মি এখনো গাজায় আছেন তাদের তালিকা দিতে হবে। তবে যুদ্ধবিরতি ছাড়া এটি অসম্ভব বলে জানিয়েছেন হামাসের মুখপাত্র। কারণ হিসেবে নাইম বলছেন, জিম্মিরা গাজায় বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। আর তারা একাধিক গ্রুপের হাতে আটক  রয়েছে। 

মিসরের সরকারের কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে, ইসরায়েলি প্রতিনিধি উপস্থিত ছাড়াই আলোচনা চালিয়ে যেতে ইসরায়েলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।   

ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্র এবং যুদ্ধবিরতি আলোচনার পৃষ্ঠপোষক যুক্তরাষ্ট্র বলছে, ইসরায়েলের অনুমোদিত চুক্তি ইতিমধ্যেই টেবিলে রয়েছে এবং এটি মেনে নেওয়া হামাসের ওপর নির্ভর করে।

গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস। এতে ১ হাজার ২০০ জন নিহত হন বলে জানায় ইসরায়েল। এছাড়া ইসরায়েল থেকে প্রায় ২৪০ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যায় হামাস সদস্যরা। এরপর থেকে গাজা উপত্যকায় নির্বিচারে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী।

ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলের আক্রমণের ফলে এখন পর্যন্ত ৩০ হাজার ৪১০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও ৭১ হাজার ৭০০ জন।