অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতার খবর জানাচ্ছে ১১ বছরের সুমাইয়া
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজার ১১ বছর বয়সের এক শিশু সুমাইয়া উশাহ। স্বপ্ন ছিল বড় হয়ে সাংবাদিক হবে। কিন্তু গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর হামলার কারণে এ বয়সেই সে হাতে তুলে নিয়েছে মাইক, জীবন বাজি রেখে বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরছে ইসরাইলি বর্বরতার খবর। গাজা উপত্যাকায় বর্বরতা ১৫০তম দিনের মতো বর্বরতা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। দেশটির এ বর্বরতার শিকার হয়ে গাজায় প্রায় একশ সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
১১ বছরের এ শিশু জানায়, জেনিনে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় নিহত সাংবাদিক শিরিন আবু আকলেহের থেকে শুনেছে সে। ২০২৩ সালে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় তিনি নিহত হন। বর্তমানে গাজার মানুষের দুর্দশার কথা জানান দিচ্ছে সে।
সম্প্রতি আলজাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সুমাইয়া বলে, আমি সৃষ্টিকর্তার ওপর ভরসা রেখে বের হই। যুদ্ধের আগে আমি সাংবাদিক হওয়ার স্বপ্ন দেখতাম। সাংবাদিক শিরিন আবু আকলেহ আমার রোল মডেল। আমি তার মতো করে নিজেকে বিশ্বের সামনে প্রমাণ করতে চাই।
ইসরায়েলি বোমা হামলার মধ্যে বাইরে যেতে ভয় হয় কি না জানতে চাইলে সুমাইয়া জানায়, আমি বাইরে গেলে বাবা-মাকে বলে যাই। আমি সৃষ্টিকর্তার ওপর ভরসা রাখি। আমি জানি, আসা যাওয়া বা রিপোর্টিংয়ের সময়েও ইসরায়েলি হামলার শিকার হতে পারি।
বিশ্ববাসীর উদ্দেশ্যে দেওয়া বার্তায় এ ক্ষুদে সাংবাদিক জানায়, আমি যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানাচ্ছি। শিশুদের জন্য গাজা উপত্যাকায় আরও বেশি মানবিক সহায়তার দাবিও জানায় সুমাইয়া।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় নজিরবিহীন পরিস্থিতিতে মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে কাজ করছেন সাংবাদিকরা। এ জন্য তাদের সুরক্ষা দিতে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়ে একটি চিঠি দিয়েছে বিশ্বের একাধিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।