পাকিস্তানে প্রথম নারী মুখ্যমন্ত্রী হলেন মরিয়ম নওয়াজ
পাকিস্তানের ইতিহাসে প্রথম নারী মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন মুসলিম লিগের (নওয়াজ) সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও দলটির প্রধান সংগঠক মরিয়ম নওয়াজ। আজ সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী পদে নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। পিএমএল-এনের নেতা ও পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের মেয়ে এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের ভাতিজি তিনি।
পাঞ্জাব প্রাদেশিক পরিষদে আজ মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচনে ভোট হয়। পিএমএল-এন মনোনীত প্রার্থী ছিলেন মরিয়ম। ভোট বয়কট করে সুন্নি ইত্তেহাদ কাউন্সিল (এসআইসি)। সোমবার এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানের গণমাধ্যম জিও টিভি।
নির্বাচনে মরিয়মের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন সুন্নি ইত্তেহাদ কাউন্সিলের (এসআইসি) পক্ষ থেকে তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের জ্যেষ্ঠ নেতা আফতাব আহমাদ খান। তবে এসআইসি ভোট বর্জন করায় তিনি কোনো ভোট পাননি। মরিয়ম ২২০ জন এমপির ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।
ভোটের ফল জানিয়ে প্রাদেশিক স্পিকার মালিক আহমাদ খান মরিয়মকে বিজয়ী ঘোষণা করেন। এরপর স্পিকার মরিয়মকে মুখ্যমন্ত্রী ও পার্লামেন্ট নেতার আসনে বসার আহ্বান জানান।
পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দেওয়া প্রথম ভাষণে মরিয়ম বলেন, ‘রাজনীতিক হিসেবে যাত্রাপথে আমি গ্রেপ্তার হয়েছি। আমার বাবা গ্রেপ্তার হয়েছেন। আমি মাকে হারিয়েছি। তবে এরপরও আমার মধ্যে প্রতিশোধের কোনো মনোভাব নেই।’
প্রথম নারী মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি মরিয়ম হবেন পাকিস্তানের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী শরীফ পরিবারের চতুর্থ মুখ্যমন্ত্রী।
মরিয়মের আগে পাকিস্তানের রাজনীতিতে সাধারণ নির্বাচন বা উপনির্বাচনে আসন পেয়েছেন এই পরিবারের আরও পাঁচ সদস্য। তারা হলেন নওয়াজ শরীফ, শেহবাজ শরীফ, আব্বাস শরীফ, হামজা শেহবাজ ও বেগম কুলসুম নওয়াজ।
৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ ও চারটি প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে ভোট গ্রহণ হয়। পাঞ্জাবে সবচেয়ে বেশি ১৩৮ আসনে জয় পেয়েছে পিএমএল-এন। এরপর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১১৪ আসন পেয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পিটিআই-সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।