ইমরান খানের পিটিআইয়ের ধর্মভিত্তিক দলের সাথে জোটের সিদ্ধান্ত
পাকিস্তানের কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের রাজনৈতিক দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) সমর্থিত স্বতন্ত্র বিজয়ী প্রার্থীরা সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল সুন্নি ইত্তেহাদ কাউন্সিলের (এসআইসি) সাথে জোট করার।
পিটিআইয়ের একাধিক সূত্র দেশটির সংবাদমাধ্যম এআরওয়াই নিউজকে জাতীয় পরিষদের সংরক্ষিত আসনের জন্য এসআইসির সাথে এই জোট গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে।
এআরওয়াই নিউজ বলেছে, পিটিআই স্বতন্ত্র সদস্যরা হলফনামা জমা দেওয়ার পর ধর্ম-ভিত্তিক রাজনৈতিক দল সুন্নি ইত্তেহাদ কাউন্সিলে যোগ দেবেন। যদিও এর আগে দেশটির আরেক রাজনৈতিক দল মজলিস ওয়াহদাত-ই-মুসলিমিনের (এমডব্লিউএম) সাথে কেন্দ্রে এবং পাঞ্জাব প্রদেশে জোট গঠন করার ঘোষণা দিয়েছে পিটিআই। কিন্তু এই ঘোষণার পর দলের কিছু সদস্য এমডব্লিউএমের সাথে জোট গড়ার বিরোধিতা করেন।
তবে রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) পিটিআইয়ের একাধিক সূত্র বলেছে, তারা কেন্দ্র এবং পাঞ্জাবে সুন্নি ইত্তেহাদ কাউন্সিলের সাথে জোট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এসআইসির প্রেসিডেন্ট হামিদ রাজা পিটিআইয়ের প্রতি সমর্থন জানিয়েছিলেন। তিনিও গত ৮ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন। রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে বন্দি পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সাথে সাক্ষাৎও করেছেন তিনি।
পিটিআইয়ের কেন্দ্রীয় তথ্য সম্পাদক রওফ হাসান বলেন, ‘‘ইমরান খান দুই দলের সঙ্গে জোটের অনুমোদন দিয়েছেন। আমরা কেন্দ্র ও পাঞ্জাবে এমডব্লিউএমের সাথে জোট গঠন করব এবং সংরক্ষিত আসনের জন্য খাইবার পাখতুনখোয়ায় জামায়াতে-ই-ইসলামির (জেআই) সাথে জোট গড়ব।’’
এর আগে পিটিআইর মহাসচিব ওমর আইয়ুবকে প্রধানমন্ত্রী পদে দলীয় প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে পিটিআইয়ের প্রতিষ্ঠাতার সঙ্গে কথা বলার পর এ ঘোষণা দিয়েছেন দলটির নেতা আসাদ কায়সার।
দেশটিতে জাতীয় নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষ হয় গত ৮ ফেব্রুয়ারি। এরপর চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশে সময় লাগে তিন দিন। কিন্তু দেখা যায়, এককভাবে সরকার গঠনের জন্য কোনো দলই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। এমনকি নির্বাচন পরবর্তী জোট গঠন নিয়েও জটিল পরিস্থিতির তৈরি হয়েছে। কোনো দলই ঐক্যমতে পৌঁছাতে পারছে না।
তাছাড়া বড় ভোট কারচুপির অভিযোগ এনে এখনও বিক্ষোভ করছে ইমরান খানের তেহরিক-ই-ইনসাফ তথা পিটিআই। দলটির দাবি তাদের সমর্থিত প্রার্থীরা ১৫০টির বেশি আসনে জয় পেলেও তা কারচুপি করে ৯২টি করে দেওয়া হয়েছে।