১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:২৩

মালদায় পরীক্ষা কেন্দ্রে ছাত্রীদের ‘অশোভনীয়ভাবে’ তল্লাশি, বিক্ষোভ ঠেকাতে পুলিশ

মালদার কালিয়াচকে স্থানীয়দের বিক্ষোভ  © হিন্দুস্তান টাইমস

পশ্চিমবঙ্গের মালদার কালিয়াচকে উচ্চমাধ্যমিক ছাত্রীদের ‘অশোভনীয়ভাবে’ তল্লাশির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠেছে কালিয়াচকের দরিয়াপুর বাইসি হাই মাদ্রাসার শিক্ষকদের দিকে। 'অশোভনভাবে তল্লাশি'র বিরোধিতায় পরীক্ষাকেন্দ্রে ভাঙচুরও চালানো হয়।

হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, পরীক্ষার্থীদের বিক্ষোভে দরিয়াপুর বাইসি হাই মাদ্রাসা চত্বরে জটিল পরিস্থিতি তৈরি হয় সেখানে। পরে ঘটনাস্থলে যায় কালিয়াচক থানার পুলিশ। তাদের মধ্যস্থতায় পরীক্ষার্থীরা বিক্ষোভ বন্ধ করেন। পরীক্ষার্থীদের অভিযোগ, পরীক্ষা দিতে ঢোকার সময় মাদ্রাসার এক শিক্ষক ছাত্রীদের ‘পোশাক খুলিয়ে’ তল্লাশি চালানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন।  

ছাত্রীদের ধাক্কা দেওয়ারও অভিযোগ ওঠে শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এরপরে পরীক্ষা চলাকালীন অনেক পরীক্ষার্থীকে শৌচালয়ে যেতে দেওয়া হয়নি। এ অভিযোগের জেরে দ্রাসায় পরীক্ষা দিতে যাওয়া ছাত্রীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। বিক্ষোভ করা শুরু হয়।  

মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের দাবি, নিয়ম মেনেই সব করা হয়েছে। পরীক্ষার্থীদের তল্লাশির জন্য মেটাল ডিটেক্টর পাঠানো হয়েছিল। তা দিয়েই তল্লাশি হয়েছে পরীক্ষার্থীদের। কেউ যাতে ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে ঢুকতে না পারে, সে জন্যেই এ ব্যবস্থা করা হয়েছিল। ওপরতলার নির্দেশেই নাকি তল্লাশিতে কড়াকড়ি ছিল। ‘অশোভন তল্লাশি’র অভিযোগ পুরোপুরি উড়িয়ে দিয়েছে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ।

আরো পড়ুন: ভারতের দিল্লিতে কারখানায় ভয়াবহ আগুন, নিহত অন্তত ১১

ছাত্রীদের অভিযোগ, তাঁদের শরীরের যেখানে সেখানে হাত দিয়ে তল্লাশি চালানো হয়েছে। তল্লাশির নামে দুর্ব্যবহার করা হয়েছে তাঁদের সঙ্গে। শিক্ষকরাই সেটা করেছেন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করেই দিনভর উত্তাল ছিল কালিয়াচক। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার শুরুর দিনেই এই ঘটনা ঘটল।  

এদিকে ছাত্রীদের তল্লাশি চালানোর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দরিয়াপুর বাইসি হাই মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আসিফ রহমান পালটা অভিযোগ করেন, নকল করার সুযোগ না পেয়ে পরীক্ষার্থীরা স্কুলে ভাঙচুর চালিয়েছে। বোর্ডের নির্দেশ মেনে মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে চেকিং হয়েছে পরীক্ষার্থীদের।