০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:২৬

বেআইনি স্থাপনা বাঁচাতে বসালেন মোদি-যোগী আদিত্যনাথের মূর্তি

অবৈধ স্থাপনা সরকার যাতে ভাঙতে না পারে সেজন্য মন্দির বানিয়ে তাতে রাম, সীতা ও লক্ষ্মণের মূর্তির সাথে বসানো হয়েছে নরেন্দ্র মোদি ও যোগী আদিত্যনাথের মূর্তিও। ভারতের গুজরাটের ভারুচ-আঙ্কেলেশ্বর এলাকার মোহনলাল গুপ্তা নামের এক ব্যক্তি এই কাণ্ডটি ঘটিয়েছেন। দেশটির সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।

এক প্রতিবেদনে তারা জানায়, বেআইনি গোডাউন যাতে সরকার ভাঙতে না পারে, তাই বিনা অনুমতিতে বাড়তি একটি তলা তৈরি করে মন্দির বানিয়ে ফেলেন ওই ব্যক্তি। তাতে রাম, সীতা ও লক্ষ্মণের মূর্তি বসানো হয়। শুধু তাই নয়, ওই মন্দিরের সামনে আরও দুটি মূর্তি তৈরি করেন। একটি মূর্তি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মতো দেখতে। অন্য মূর্তিটি আবার উত্তর প্রদেশের যোগী আদিত্যনাথের মতো দেখতে। ওই ব্যক্তির কাণ্ড দেখে হতবাক প্রশাসনের কর্তা-ব্যক্তিরা।

আরও পড়ুন: মৃত্যুভয় উপেক্ষা যে কারণে ইসরায়েলে ছুটছে ভারতের তরুণরা

প্রতিবেদনে আরও জানায়, মোহনলাল গুপ্তা উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। তিনি যে দোতলা গোডাউন চালাচ্ছেন, তা অবৈধভাবে তৈরি করা হয়েছে বলে অভিযোগ জমা পড়ে। সেই অভিযোগের পরই মোহনলালের গোডাউন পরিদর্শনে আসেন ভারুচ-আঙ্কেলেশ্বর ডেভলপমেন্ট অথরিটির কর্তারা।

আর তারপরই নিজের ‘অবৈধ’ নির্মাণকে বাঁচাতে অনুমতি ছাড়াই গোডাউনের ওপরে একটি বাড়তি তলা তৈরি করে ফেলেন। আর সেখানেই মোহনলাল ওই মন্দির তৈরি করেন বলে দাবি করা হয়েছে। আর সেই বিষয়টি নিয়ে নতুন করে অভিযোগ জমা পড়ার পরে মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) আবারও পরিদর্শনে আসেন ভারুচ-আঙ্কেলেশ্বর ডেভলপমেন্ট অথরিটির কর্তারা। পরিদর্শনে এসে তাদের চক্ষু চড়ক গাছ হয়ে যায়।

তারা দেখেন যে মন্দিরে রাম, সীতা ও লক্ষ্মণের মূর্তি আছে। আর মন্দিরের ঠিক সামনেই মোদি ও যোগীর মতো দেখতে মূর্তিও দেখতে পান তারা। আর সেই মন্দিরটি গত ২২ জানুয়ারি উদ্বোধন করেন মোহনলাল। যেদিন অযোধ্যার রামমন্দিরে রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা হয়। সেই পরিস্থিতিতে ভারুচ-আঙ্কেলেশ্বর ডেভলপমেন্ট অথরিটি মোহনলালকে প্রয়োজনীয় নথিপত্র জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বলে ওই রিপোর্টে জানানো হয়।

রিপোর্ট অনুযায়ী, মোহনলাল অবশ্য যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। তার দাবি, গত বছর এক ব্যক্তির থেকে ওই জায়গা কেনেন। যিনি নির্মাণের জন্য ২০১২ সালেই স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে অনুমতি চেয়ে রেখেছিলেন। কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দাদের কেউ কেউ তাকে হিংসা করছেন। তার থেকে টাকা চাইছেন। তারাই গোডাউন ভেঙে দেওয়ার ছক কষেছেন বলে দাবি করেছেন মোহনলাল।